আগামী নির্বাচন ব্যর্থ হলে দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১৪ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিদায় দিন; অধিকার, ইনসাফ ও মুক্তির লড়াই এগিয়ে নিন’ শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটা ব্যর্থ ও অকার্যকর নির্বাচনের দায়ভার এ দেশের মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশ আফ্রিকার অনেক দেশের মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাইফুল হক এসব কথা বলেন। ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিদায় দিন; অধিকার, ইনসাফ ও মুক্তির লড়াই এগিয়ে নিন’ শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, বর্তমান সরকার জবরদস্তি করে ‘অবৈধ’ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দেশব্যাপী বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে হামলা, মামলা, গুলি করছে। আশার জায়গা হলো, মানুষ আজ ভয়কে জয় করেছে। মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে।
এ সময় বর্তমান সরকার সত্য স্বীকার করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন সাইফুল হক। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগ্রাসী সরকার সত্যকে স্বীকার করতে পারে না। যেখানে হাজার হাজার মানুষ দেখছে জাল ভোট হচ্ছে, কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে নৌকার পক্ষের লোক- এগুলো আওয়ামী লীগের লোকদের চোখে পড়ে না। যে নির্বাচন কমিশন একটি উপনির্বাচন করতে পারে না, তারা কীভাবে জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট পরিচালনা করবে, সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি।
দেশের কেউ কী বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে- এমন প্রশ্ন রেখে সাইফুল হক বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার সুযোগ নেই। তাই নির্বাচনের আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ২০১৮ সালের মতো আওয়ামী লীগের তামাশার সংলাপে এবার কোনো বিরোধী দল যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই দলের অতীত যে ঐতিহ্য আছে সে ঐতিহ্যকে আজ ধ্বংস করে তারা সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ পুড়ে মরছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘বাজারে গেলে দেশে সরকার আছে বলে মনে হয় না। বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০-৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুতদার ব্যবসায়ীরা এখন আরও মজুত করবে।’