ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি পাঁচ নেতা হত্যা ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৫ অক্টোবর শনিবার বিকেল চারটায় ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠেই গণসমাবেশ করতে চায় বিভাগীয় বিএনপির নেতারা।
তবে গত ৬ অক্টোবর গণসমাবেশের জন্য গত মাঠ চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির র্শীষ স্থানীয় নেতারা।
আজ শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপির নেতারা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রবীণ সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও হুইপ মশিউর রহমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল আলম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক এনায়েত উল্লাহ কালম, যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম.এ হান্নান খান, শামীম আজাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফখরুদ্দিন আহেমেদ বাচ্চু, আখতারুজ্জামান বাচ্চু প্রমূখ।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রবীণ সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা (বিএনপি) কারো শত্রু নই, আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। কারো সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব নাই। বিএনপির শান্তির্পূণ ও সুশৃংখল পরিবেশে গণতান্ত্রিক সমাবেশ করতে চাই, আমাদের সে সুযোগ দিন। এ জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের সবটুকু অধিকার আমরা পেতে চাই।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, চট্টগ্রাম সমাবেশের তিন আগে প্যালোগ্রাউন্ড বরাদ্ধ দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বরিশাল, সিলেটের সমাবেশের স্থান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ময়মনসিংহে কি এমন হয়েছে যে প্রশাসন মাঠের অনুমতি দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এটা বিভাগীয় সমাবেশ, ৭ জেলার নেতাকর্মীরা আসবে। সে জন্য আমরা সুশৃংখল শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে বড় মাঠ চাই। আর যদি সারা শহরে সমাবেশের নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে থাকে তাহলে তাদের শৃংখলার নিশ্চয়তা কে দেবে। আশা করছি প্রশাসন বড় সমাবেশের জন্য মাঠ বরাদ্ধ দিবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও হুইপ মশিউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত সমাবেশের মাঠ দেওয়া হয়নি। সেই সাখে সমাবেশে বাঁধা দিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সমাবেশ বাঁধাগ্রস্থ করতে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সরকারী দলের পক্ষ থেকে কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা খাওয়ার দাওয়াত দেন, অথচ আমরা (বিএনপি) সমাবেশের জন্য মাঠ পাবো না, এটা হতে পারে না। ভয়-ভীতি দেখিয়ে সমাবেশ বাঁধাগ্রস্থ করা যাবে না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত ৬ অক্টোবর প্রশাসনের কাছে সমাবেশের জন্য সার্কিট হাউস মাঠের ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমাবেশের জন্য মাঠের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বড় মাঠে সমাবেশের জনস্রোত আড়াঁল করার জন্য মাঠে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এই জনস্রোত যদি সারা শহরে ছড়িয়ে যায়, আর তাতে যদি কোনো বিশৃংখলা হয় এর দায়-দ্বায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।