সরকার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ : আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১২ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গাইবান্ধা উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করে সরকার ‘সাংবিধানিক কর্তব্য’ পালনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
জেএসডি সভাপতি বলেন, একটিমাত্র উপনির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে কয়েক প্লাটুন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান, আনসার সদস্য ছাড়াও ১২৮৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকার পরও নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানো যায়নি। তাহলে ৩০০ আসনের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার অক্ষম। ‘ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে’- গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আসম রব বলেন, এতে প্রমাণ হয়- অতীতের মতো আজ অনুষ্ঠেয় একটিমাত্র উপনির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনকে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সহযোগিতা করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকার পূর্বের ন্যায় ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬-এ বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে’। সরকার গাইবান্ধা উপনির্বাচনে সংবিধানের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য পালন করেনি। সরকার ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি এবং জনগণবিহীন ভোটের সংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসম রব আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো গাইবান্ধা উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অসহযোগিতা এবং সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়া, নতুবা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করা। এটাই হবে নির্বাচন কমিশনের নৈতিক কর্তব্য।