না’গঞ্জের ফতুল্লায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ৭ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়ায় মাদ্রাাা পড়ুয়া সাত বছর বয়সী এক শিশুকে শিক্ষক কতৃক ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় মহলজুড়ে চাপা ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছর বয়সী শিশুকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক সালমান ধর্ষণের চেষ্টা চালান। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী রাসেল ও তার অনুসারীরা।
গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পিলকুনী পুলপার ঢেউয়াতলা এলাকায় তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় ওই ঘটনা ঘটলেও বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে তা গণমাধ্যকর্মীরা জানতে পারে।
শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, তাফসীরুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্রী সালমা মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার শিক্ষক সালমান তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় শিশুটি দৌড়ে বাসায় চলে যায়। পরে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আধাজল খেয়ে মাঠে নামে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লা। সুমন নামে আরো এক ব্যক্তিও যোগ দেয় তাদের সাথে। এলাকাবাসীর বাধার মুখেও তথাকথিত বিচার সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার মতো ঘটনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ' শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কথা জেনে আমরা দেলপাড়া ঢেউয়াতলা যাই। কিন্তু তথাকথিত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লা আমাদেরকে 'কিছুক্ষণ পরে আসছি' বলে বসিয়ে রেখে সেখান থেকে একপ্রকার পালিয়ে যান। এরকম একটি স্পর্শকাতর ঘটনার মীমাংসা কোনোভাবেই তিনি করতে পারেন না।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার সাত বছরের মেয়ে ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। প্রতিদিনের মতো সেদিন পড়তে গেলে সালমান আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ে অনেক কষ্টে দৌড়ে বাসায় চলে আসে। পরে বিষয়টি সে আমাদেরকে জানালে ঘটনাটি এলাকার মুরুব্বীদের জানাই। কিন্তু তথাকথিত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লা ও একই এলাকার সুমন বিষয়টির মীমাংসা করে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক শিশুটিকে আদর করার চেষ্টা করেছিলো। আমিরা বিষয়টিকে মীমাংসা করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এ বিষয়টি আমরা অবগত নই, কেউ আমাদেরকে জানায়নি। খোঁজখবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।