দেবিদ্বারে এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩২ এএম, ৫ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ভিংলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজীব মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যরা হলেন- ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. জহির ও মাহবুব হোসেন, বানিয়াপাড়ার হিমেল ও শুভ। সূত্র মতে, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ সোমবার রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভার আলিয়াবাদ এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। একই সময়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে একই এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন। একপর্যায়ে বহরের গাড়ি সাইডে রাখা নিয়ে উভয়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ তার গাড়ি বহর নিয়ে পৌরসভার ফতেহাবাদ এলাকার একটি মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এসে স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন।
এ সময় এমপি রাজী ফখরুলের গাড়ি বহর আলিয়াবাদের মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ফতেহাবাদ এলাকার অন্য আরেকটি মণ্ডপে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল থেকে আবুল কালাম আজাদ ও তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে করে উস্কানিমূলক স্লোগান দিলে আবুল কালাম আজাদের অনুসারীরাও পাল্টা জবাব দেয়। এতে রাজী ফখরুলের অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে আবুল কালাম আজাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আবুল কালাম আজাদ বের হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে উদ্দেশ্যে করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে আসছিলাম। স্থানীয় এমপি রাজী ফখরুলের নেতাকর্মীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রথমে আলিয়াবাদ এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের মারধর করে। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফতেহাবাদ এলাকায় একটি মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পুনরায় তারা হামলা চালায়। তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়ি ও উপজেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমার ৫ জন নেতাকর্মীকে পিঠিয়ে আহত করেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত সজীব নামে একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি কে বা কারা ভেঙেছে জানা নেই। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, সংর্ঘষের ঘটনাটি পূজামণ্ডপের বাইরে ঘটেছে। তবে দু’পক্ষের কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।