১২ তারিখের সমাবেশ থেকে এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের ঘন্টা বাজবে : মোহাম্মদ শাহজাহান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ৪ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বর্তমান গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতার কারণে চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রতিবাদে বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভোলার নুরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম মোট ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশ লক্ষ জনতার সমাবেশে পরিণত হবে। ১২ তারিখের সমাবেশ থেকে এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ১২ অক্টোবর বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যে দলের যেসব নেতাকর্মীর নামে হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলাগুলোতে গ্রেফতার করা শুরু করেছে। অবৈধপথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নির্বিঘেœ অনুষ্ঠিত করতেই একের পর এক গ্রেফতার করা হচ্ছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ ঠেকাতে সরকার নানামুখী চক্রান্ত শুরু করছে। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। বিএনপির সভা সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছে মানুষ। এতেই আতঙ্কিত সরকার। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, যতই চক্রান্তের জাল ফেলা হোক না কেন, এই অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, চক্রান্ত করে জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। চট্টগ্রামের মানুষ প্রস্তুতিতে শুরু করেছে আগামী ১২ অক্টোবর তারিখের সমাবেশ লক্ষ জনতার সমাবেশে পরিণত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আগামী ১২ অক্টোবর যে সমাবেশ হবে তা হবে সারাদেশের জন্য অনুকরণীয়। বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তা ১২ তারিখের সমাবেশে চট্টগ্রামের মানুষ প্রমাণ করবে। আজকে সারাদেশে যে অরাজকতা, লোডশেডিং, লুটপাটের বিরুদ্ধে গণসমাবেশ সফল করে চট্টগ্রামের জনগণ তার সমুচিত জবাব দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামবাসী সব সময় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যখনই ডাক আসবে তখনই এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ নেমে আসবে।পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলিই তার প্রমাণ। এই নির্বাচনগুলিতে ভোটাররা ভোট নিতে পারেনি। তাই নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশকে সরকার পতনের স্লোগানের মুখরিত করে তুলতে হবে।
আগামী ১২ অক্টোবরের সমাবেশের ইতোমধ্যে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, তাতেই জনসভা জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ সমাবেকে কেন্দ্র করে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নির্দোষ বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। মামলা হামলা বিএনপি নেতা কর্মীরা ভয় করে না। আগামী ১২ অক্টোবর সমাবেশকে সফল করতে মহানগরের প্রতিটি থানা ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে প্রস্তুতি নেওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছি।
বিশেষ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল আহমেদ, নগর বিএনপির প্রস্তুত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, অ্যাডভোকেট মফিজুলক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, গাজী মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নূর উল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুল ইসলাম শিপন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হকসহ ৪৩টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।