বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ৪ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
‘শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে।’ তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলা হয়, ‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সব সময় উৎসাহ-উদ্দীপনা সহকারে পালিত হয়। যে কোনো উৎসবই মানুষের আনন্দময় সত্তার জাগরণ ঘটনায়। সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ, মানুষের আত্মাকে সকলের প্রতি শুভেচ্ছাবোধে উদ্দীপ্ত করে, মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তির অবসান হয় এবং সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ন, অবিচার ও প্রতিহিংসার অভিঘাতে যারা রাষ্ট্র ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানুষের সার্বিক স্বাধীনতা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সকলে মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের প্রাঙ্গণে সবাইকে নিয়ে আমাদের যে সমাবেশ তা আবহমান সৌহার্দ্যরে শাশ্বত চিত্র। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি এ দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাসী নই। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ। শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরেই এই উপমহাদেশে এই ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। এই উৎসবে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সব মানুষেরই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, নানা সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে নানাভাবে। এই উৎসব বাংলাদেশের একটি শাশ^ত সার্বজনীন উৎসব। উৎসব জাতি-রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। উৎসবের অন্তর্লোক হচ্ছে- শান্তি ও সহাবস্থান। উৎসবের পরিসর বৃত্তাবদ্ধ নয় বরং বিস্তৃত ও সার্বজনীন। এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দুু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ, প্রতিমা ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির জুলুম, সন্ত্রাসের নানা মাত্রা এবং আবশ্যকীয় জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও দুর্গাপূজার মতো বড় ধর্মীয় উৎসব দেশের জনগোষ্ঠীকে সৌহার্দ্য ও শুভেচ্ছাবোধে উদ্দীপ্ত করে। যেকোনো বড় উৎসব জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দোত্যক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাজার হাজার বছর ধরে বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গণে মিলিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐত্যিহের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি-এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়। আমি শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’