বাজারে অস্থিরতা : নিম্ন-মধ্য পরিবারে দিন যাচ্ছে চাপা কষ্টে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশে সব তরকারির সবজি হিসেবে পরিচিত আলু। খাবারের পদকে রুচিশীল করতে এর জুড়ির শেষ নেই। নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাধারণত আলুর ভর্তা সাথে ডাল রান্না করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। এ দুই উপাদানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু ৩৫ টাকা। আর মুদি বাজারে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র দেখা যায়। আলু ভর্তা আর ডালে প্রয়োজন পরে এমন অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম কম নয়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ডালে অনেকে রসুন ব্যবহার করেন। সেই দেশি রসুনের কেজি এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া বাজারে আদার কেজি বিক্রি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা হলেও ভারতীয় মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ৫০ টাকা। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। রাজধানীতে বাজার ভেদে কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিংগা। শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুরমুখী ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
মাছের বাজার: বাজার ভেদে পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের ও জীবন্ত পাঙাশ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। নলা মাছ কিনতে কেজি প্রতি ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা টাকা পর্যন্ত। শিং মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা। তবে ৫০০ টাকার কমে শিং মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।
মুদি বাজার : চিনির বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। লাল চিনির কেজি ১০০ টাকা। আলু ৩৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা। রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা। ভারতীয় মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। ৫ টাকা বেড়ে দুই কেজির প্যাকেট আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। বাজার প্রতিটি জিনিষে আগুন লেগেছে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ হকার আজগর আলী জানান, পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আয়ের কোন পথ দেখছি না। যা আয় করি তা দিয়ে দিনের বাজার মেটানো সম্ভব হয় না। বাড়তি যোগ করতে হয়; না হয় দেনা করে চলতে হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন বাঁচবো। পরিবার আর সন্তানদের কীভাবে খাবার দেই ভেবে পাচ্ছি না।