মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা শাওন মারা গেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত বুধবার মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে শাওন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকেসহ জাহাঙ্গির মাদবর, তারেক হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।
বিএনপির দাবি, পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন শাওন। শহীদুল ইসলাম শাওন মুন্সিগঞ্জ জেলা মীরকাদিম পৌর যুবদলের ৮ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তার এক বছরের একটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শাওনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা।
এসময়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল ড্যাব সদস্য ডাক্তার পারভেজ রেজা কাঁকনসহ আরো অনেকে।
এসময়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, হত্যা, গুলি আর নির্যাতন করে কোন স্বৈরাচারী সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকারের পতন ঘটবে। সেদিন এই জুলুমের বিচার হবে। প্রতিটি ফোটা রক্তের হিসেব কড়ায় গন্ডায় নেওয়া হবে। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই মধ্য দিয়েই তাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করা হবে।
গত কেন্দ্রীয় কর্মসহৃচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের বাধাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সহৃত্রপাত। মুত্তারপুরে পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিএনপির মিছিলের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ-উল-ইসলাম ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেন এবং মিছিলের ব্যানার নিয়ে যান ও ছিড়ে ফেলায় এবং লাঠিচার্জ করায় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে উপর্যপুরি ইটপাটকেল মারেন। এসময়ে পুলিশও কাদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত পৌনে ৯টায় মৃত্যু হয় তার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুবদল নেতার মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।