আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া ওঠেছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারা দেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামীলীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।
আজ রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।
ডা. শাহাদাত বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দোয়া মোনাজাত করছেন। তিনি এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করে আবার তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও দিয়েছেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে বিএনপি জামায়াতের দোয়াও চেয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না, উনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক নাকি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ? একজন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি শুধু আচরণবিধিই লঙ্ঘন করেননি, নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে নিরপেক্ষতা হারিয়ে নির্লজ্জ দলবাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যদি দলবাজী করতে হয় তাহলে চেয়ার ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিন। এই মুহুর্তে চট্টগ্রামের ডিসিকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশের প্রশাসনকে প্রশাসন লীগ বানিয়ে রেখেছে। ৬৪ জেলায় ৬৪ জন প্রশাসন লীগের নেতা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পুলিশ আর প্রশাসন লীগের সহযোগিতায় বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ভুলে গেছেন, তিনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী নন। এই দলবাজ জেলা প্রশাসকের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা চট্টগ্রামের ডিসি’র দলীয় কর্মীর মতো ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম প্রমূখ।