মির্জা ফখরুলের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
‘পাকিস্তানের আমল থেকেও খারাপ অবস্থায় আছি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিকভাবে এবং পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনও ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ মন্ত্র জপছে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এ ধরনের নির্লজ্জ বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয় বরং ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। তার এই ধরনের বক্তব্য বিএনপিসহ একটি মহলের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, পাকিস্তান আমলে না কি ওনারা আরও ভালো ছিল। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতাবিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এই ধরনের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মন্তব্য করতে পারে না বলে দাবি কাদেরের।
তিনি বলেন, ‘তাদের এই ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায়। বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি নেতারা পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করেন।
কাদের আরও বলেন, যখন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবীরা শেখ হাসিনার মতো একজন সুদক্ষ নেতৃত্বের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করে তখন বিএনপি মহাসচিব পাকিস্তান আমলে ফিরতে চাচ্ছেন! বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প দেখলে বিএনপি মেগা-যন্ত্রণায় ভোগে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই নাজুক অবস্থায় ছিল যে, তারা দেশে কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মানসিকতা, সাহস, দক্ষতা এবং আর্থিক সামর্থ্যরে কথা চিন্তাও করতে পারে নাই বলে দাবি তার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ও ষড়যন্ত্রকারীরা যতই অপচেষ্টা চালাক না কেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নের এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র। বিনির্মাণে সক্ষম হব।