আমরা নির্বাচন কমিশনকেই মানি না : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকেই মানি না। সেখানে নির্বাচন কমিশনের বা নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
আজ বুধবার বিকেল ৫টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন বিষয়ে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি এটা আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থাৎ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সে নির্বাচন কখনই গ্রহণযোগ্য ও অবাধ, সুষ্ঠু হবে না। আর দেশের মানুষও এতে অংশ নিবে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রকাশ করব। বিএনপির নেতা আছে বলেই এই সরকার বিএনপিকে এতো ভয় পায়। বিএনপির নেতা আছে বলেই আজ বিএনপি উঠে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি আন্দোলন সফল করবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাদে অন্য প্রার্থীদের নোমিনেশন জমা দিতে বাধা ও প্রার্থী না হতে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে চায় তারা এবং এতেই তারা অভ্যস্ত।
ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত থেকে কিছুই আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। আমাদের যে তিস্তার পানি সমস্যা এবং অভিন্ন নদীগুলোর সমস্যা, সীমান্ত হত্যা সমস্যা- এসব বিষয়ে সমাধান আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রধানমন্ত্রী প্রেস কনফারেন্সে সুস্পষ্টভাবে বলতে পারেননি আসলে তিনি ভারত সফরে গিয়ে কি কি নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, মমিনুল হক বাবু, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলম লাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।