‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়নি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা জানি না, এই সফরের অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কি না।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালির পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। যদিও পুলিশের বাধায় র্যালি করতে পারেনি মহিলা দল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন দেশের কূটনৈতিক শক্তিকে বৃদ্ধি করবেন, এটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি গিয়ে কী নিয়ে এসেছেন? প্রতিবার ভারত গিয়ে তিনি শুধু দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করতে পারেননি। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন, সারা জীবন তারা মনে রাখবে। কিন্তু আমরা স্মরণ রাখার মতো এমন কিছু এখন পর্যন্ত আনতে পারেননি। সফরে গিয়েছিলেন অনেক কথা বলেছিলেন কিন্তু কোনো চুক্তি হয়নি। শুধু স্মারক সই করেন। এটার অর্থ হচ্ছে ইচ্ছে প্রকাশ করা। কিন্তু আসল চুক্তি না হলে সেটার কোনো মূল্য নেই।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ রোহিঙ্গারা আমাদের বাংলাদেশের একটি বিরাট বোঝা হয়ে গিয়েছে। ভারতে গেছেন কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। আমাদের সীমান্তে যে প্রতিনিয়ত হত্যা, সীমান্তে যে প্রতিনিয়ত মাদক চোরাচালান হচ্ছে এগুলোর বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।
দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই। আজ দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। এই সরকারের লোকেরা সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশের অর্থ লুটেপুটে নিয়েছে। শেয়ার মার্কেট ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি এবং তারা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়েছিলেন, যেতেই পারেন। তার কয়েকদিন আগে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। নেতাকর্মীদের হত্যা করেও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্য পদ্ধতি নিতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বাস্তবায়ন হওয়া দেখছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।