রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ওসিসহ আহত অর্ধশতাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শাহ উজ্জল, ফজলুল হক, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিবুর রহমান মনু, গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেব দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান মঞ্জু ও সদস্য সচিব বুলবুল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পদাক সৈয়দ সিদদীদ, ছাত্রদল নেতা তিতাস, আকাশ, বিএনপি নেতা মিলন, মাবু ও সাংবাদিক আব্দুল বারী স্বপন, সাজু আহমেদসহ আহতরা গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ১০-১৫জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও দোকান উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহাসহ বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলেরনেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল মেরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন রায়হান বলেন, বর্তমানে গঙ্গাচড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কারো মাথা ফেটে গেছে, কারও হাত-পা কেটে গেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।