সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জনতার ঢল, র্যালীতে পুলিশের বাঁধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বিএনপি র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে আলোচনা সভা শেষে একটি র্যালী শহরের প্রাণকেন্দ্র আলফাত স্কয়ারের দিকে রওয়ানা হলে পুলিশ বাঁধা দেয়ে। পুলিশ বাঁধা অতিক্রম করতে না পেরে র্যালীটি আবার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলে আসে।
সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলোচনা সভা মঞ্চের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। সৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভীর।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসটেন্ড এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট অতিক্রম করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে নেতাকর্মীরা পুনরায় বিক্ষোভ মিছিলটি পুরাতন বাসটেন্ড এলাকায় এসে সমাপ্ত করে।
র্যালীর আগে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল ও যুগ্ম সম্পাদক মুনাজ্জির হোসেন সুজন এর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক সাংসদ নজির হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাদের আহমদ, অ্যাডভোকেট মল্লিক মহিউদ্দিন সুহেল, সৈয়দ মো.তিতুমীর, আব্দুল মোতালেব খান, অ্যাড, মাশুক আলম, আতম মিসবাহ, অ্যাডভোকেট শেরনুর আলী, রেজাউল হক, আবুল কালাম আজাদ, আনসার উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি, আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিএনপির সহসভাপতি, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিসুল হক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নূর হোসেন, নাসির উদ্দিন লালা, অ্যাড. জিয়াউর রহিম শাহিন, মামুনুর রশিদ শান্ত, জুনাব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.মামুনুর রশিদ কয়েস, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামুসুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব তারেক মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা ভারতের সহযোগিতায় টিকে থাকে তাদের এই দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই। তাদের এদেশের সরকারে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। নিজেদের স্বাধীন বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে। তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারের কাছে বলেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সাহায্য করেন। অর্থাৎ তারা একথা বলতে চান যে, ভারত সরকারের আনুকূল্যে এই সরকার টিকে আছে।
দেশে আজকে কারা ভালো আছে, লুটেরা এলিট শ্রেণি। এই লুটেরা এলিট শ্রেণি কারা? এরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা। তাদের মন্ত্রী, বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা। এক কথায় বলা যায়, এই সরকার লুটেরা সরকার। এ সরকারের সাথে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার দেশকে ইতোমধ্যে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না। তাই আসুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অঙ্গীকার করি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে রাজপথ হবে আমাদের ঠিকানা।