দুর্নীতি আর টাকা পাচার আড়াল করতে প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবার সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৩১ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার আর রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন ব্যার্থতা আড়াল করতে প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবার এবং বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, চারদিকে দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার আর বিনাভোটে রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে প্রায়শই নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন। অশালীন অশ্রাব্য ভাষায় কটুকথা বলেন। উদ্ভট সব তত্ত্ব-তথ্য হাজির করেন। গতকাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় শেখ হাসিনা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে যেসব টাটকা মিথ্যা কথা, ইতিহাস বিকৃত এবং অরুচিকর কুৎসা বয়ান করেছেন তা সুস্থ মস্তিষ্কে উচ্চারণ সম্ভব কি না তাতে জনগণের ঢের সন্দেহ আছে। তার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে লেলিহান প্রতিহিংসাপরায়ণতা যেন তার মুখ দিয়ে তরল গরল হয়ে উদগিরণ হচ্ছে। তার তীব্র বিষাক্ত ক্রোধের কারণ হলো আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতার ময়ুর সিংহাসনে টিকে থাকার সমস্ত সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে গেছে। গুম, খুন, লুটপাট, অর্থ পাচার, জুলুম-নিপীড়নের সমস্ত সীমা-পরিসীমা অতিক্রম করেছে তার মাফিয়া সরকার। পাপাচারে পূর্ণ হয়ে গেছে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ দাবানলের মতো ফুঁসে উঠেছে। নিভৃত জনপদেও সরকারের পতন দাবিতে বানের মতো অকল্পনীয় উত্তাল জনস্রোত দেখে শেখ হাসিনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। পুলিশ এবং তার দলীয় সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে মিছিলে এবং বাসাবাড়িতে নারকীয় কাপুরুষোচিত হামলা করেও গণবিদ্রোহ ঠেকাতে পারছে না। এখন পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধীদলের অন্তত ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সর্বহারা পার্টির শীর্ষ নেতা সিরাজ শিকদারকে গুম, অপহরণ এবং হত্যা করে পার্লামেন্টে হুঙ্কার দেয়া হয়েছে ‘কোথায় আজ সিরাজ শিকদার’। ইতিহাস সাক্ষী, গুম, অপহরণ আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। ৭৩-এর জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির সাক্ষীদের কেউ কেউ এখনো বেঁচে রয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগ যখন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে গুম-খুন-অপহরণ কিংবা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন তখন বোঝা যায় আওয়ামী লীগের চরিত্র এখনো পাল্টায়নি। তারা কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ তাদের যেকোন ব্যর্থতার দায়ভার স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। আওয়ামী লীগের বর্তমান আচরণ দেখলে মনে হয়, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান একটি মস্তবড় ভুল করেছিলেন। ভুলটি হলো ‘চোরের দল চাঁটার দল’ বলে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুনরায় সেই আওয়ামী লীগকেই বাংলাদেশে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে না দিলে হয়তো বা স্বাধীনতার ঘোষককে অকালে জীবন দিতে হতো না, এমনকি এখনো মিথ্যাচার-অপবাদের সম্মুখীন হতে হতো না। স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মিথ্যাচার করেই ক্ষান্ত হননি নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কেও স্বভাবসুলভ নোংরা ভাষায় বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এ নিয়ে কোনো জবাব দিতে চাই না বরং বলতে চাই এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনা তার কুরুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ‘আয়নাঘরে’র ভয়ে প্রকাশ্য প্রতিবাদ না হলেও জনগণের কাছে শেখ হাসিনার কথার গুরুত্ব আসলেই রয়েছে কিনা এটি সময়ই বলে দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গতকাল মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরেক প্রলাপ বকেছেন, তিনি ১৯৭৭ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ১১ জন বিমান বাহিনীর সিনিয়র অফিসার এবং দুইজন সেনা কর্মকর্তাসহ ১২ জন সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করা বিদ্রোহীদের সামরিক আদালতে বিচার করে শাস্তি দেয়ার ঘটনাকে গুম হিসাবে দাবি করে বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাকি বাংলাদেশে গুম-খুন শুরু করেছিলেন। একমাত্র পাগলের পক্ষেই বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়াকে বিচার বহির্ভূত গুমের সাথে তুলনা করা সম্ভব। ১৯৭৭ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যারা ২৩ জন সামরিক ব্যক্তিত্বকে হত্যা করেছিল, তাদের বিচার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই কোর্ট মার্শালে হয়েছিল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কোয়াটার গার্ডে রাখা হয়েছিল এবং বিধি মোতাবেক তাদের বিচার শেষে শাস্তি হয়েছে, কেউ খালাস পেয়েছে। কোনো শিক্ষিত মানুষ এটাকে গুম বলে দাবি করবে না। ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিন তেলের দাম ৫২ শতাংশ বাড়ানোর পর মানুষের রুদ্ররোষ, অব্যাহত প্রতিবাদ ও অসন্তোষে ভীত হয়ে নিশিরাতের গণবিরোধী সরকার লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানো জনগণের সঙ্গে নিছক তামাশা এবং নির্মম প্রতারণা মাত্র। জনগণের জন্য ভর্তুকি না বাড়িয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা করাতে চায় জুলুমবাজ সরকার। শেখ হাসিনা জনগণকে বোকা ভাবতে ভাবতে এখন খোকা ভাবতে শুরু করেছে। মুনাফাখোর প্রতারক ব্যবসায়ীরা যেমন পণ্যমূল্য ৫২ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা ডিসকাউন্ট ঘোষণা করে, এই লুটেরা সরকার তাদের পথে নেমেছে। এটা যেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কবিতার মতো-“শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির”। এখনকার দিনে এই ৫ টাকার তো কোনো মূল্যই নেই, গরিব মিসকিনকে ভিক্ষাও দেয়া যায় না। আদতে সরকারের আরেকটি কুমতলব হলো তাদের ব্যবসায়ী লুটেরাদের পকেট আরো স্ফীত করতে এই দাম কমিয়েছে। কারণ আপনারা জানেন গত ৬ আগস্ট জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম বাড়ানোর পর পরিবহন ভাড়াসহ সব কিছুই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এই সিন্ডিকেট বান্ধব সরকারের জামানায় কোনো কিছুর দাম একবার বাড়লে আর কমে না। ২০১৬ সালে ৩ টাকা কমানোর ফলে শুধু বাসমালিকরা ৯০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল, এখন এই ৫ টাকাও তাদের পকেটেই ঢুকবে। মানে- দাম কমানোর সুফল পুরোটাই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের পকেটেই যাবে। আর দ্রব্যমূল্যের ওপর যে কী প্রভাব পড়বে, তা সহজেই অনুমেয়। লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর নামে নতুন করে লুটপাটের ফন্দিফিকির করছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অমানবিক। এই ভাঁওতাবাজি বন্ধ করতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর তথ্যানুযায়ী বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ৬ শতাধিক মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা অপহরণ করে গুম করেছে। এই নির্দয় গুমের শিকার হয়েছেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু ও চৌধুরী আলম, সুমন, জাকিরসহ বিএনপির শত শত নেতাকর্মী। গুম সরকার এতোদিন ধরে গুমের কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে সুইডেনভিত্তিক নেত্রনিউজ ‘আয়নাঘর’ নামের গুম-টর্চার সেলের ঠিকানা ফাঁস করার পর আওয়ামী লীগ নেতারা প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। দেশে যত সরকারি কর্মকর্তাগণ আছে তাদের গাড়িতে-অফিসে যে পরিমাণ এসি ব্যবহৃত হয় সেখানে যে পরিমাণ তেলের অপচয় হয় স্কুল-কলেজগুলোতে মনে হয় না বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এত তেল লাগে। সুতরাং পরিকল্পিত শিক্ষা ধ্বংসের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত জনগণ বরদাস্ত করবে না।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত পরশু এবং গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করেছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এসব বর্বরোচিত ও নৃশংস ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত পরশু এবং গতকাল দেশের যেসব অঞ্চলে হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তার বিবরণ ঃ
গতকাল ফেনী জেলাধীন দাগনভুঁইয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর এবং ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল হালিম, গোলাম রাব্বানী, সুমন হাওলাদার, কাজী সায়েম, আনোয়ার হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। গত ১০ দিন ধরে সেখানে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সেখানে এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। আজ কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টে সকাল ১১টায় বিএনপির কেন্দ্র্র্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সমাবেশ স্থলে বিএনপির মিছিলে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। পরবর্তীতে আবারো পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সোয়াগাজীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশস্থলে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে পন্ড করে দিয়েছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
তারিখঃ ২৯ আগষ্ট ২০২২
বাগেরহাট জেলার ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাওলাদারের ওপর বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার হাজরাখালী নামকস্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা ও সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, কমিশনার মফিকুল ইসলামের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে এবং বাসার সকলকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। সদস্য সচিব কোহিনুর আলমের বাড়িতে হামলা, ব্যবসায়িক অফিস ভাঙচুর ও তালা লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল মিয়াকে মারধর করে আহত করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। নোয়াখালী জেলাধীন সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়ায় কাজী মফিজের ব্যবসায়ী অফিসে গতকাল রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত হোসেন কাননের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অফিসের ভিতরে থাকা অনেক মূল্যবান দলিলপত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নোয়াখালীতে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সাধারণ মানুষকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে।
তারিখঃ ২৮ আগষ্ট ২০২২
ভোলা জেলার গত ২৮ আগষ্ট ২০২২ তারিখে বোরহানউদ্দীন উপজেলায় সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তিনিসহ প্রায় ৫০ জন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আহত করে। এই হামলা পুলিশের উপস্থিতিতেই হয় এবং তারা নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
তারিখঃ ৩০ আগষ্ট ২০২২
ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় আহত হন সাধুহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের, সাগান্না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোকলেছুর রহমান বকুল, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রছুল, বিএনপি নেতা শবজেল, আলী, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, মহারাজপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মনছের আলী, গান্না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আনিছ, শাহজাহান, যুবদল নেতা যুবায়ের, কওছার, ছাত্রদল নেতা শামীম, নীশান, ঘোড়শাল ইউনিয়ন যুবনেতা আশিক, রুবেল, আলামিন, পলাশ, রিয়াজ,হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাঃ এনামুল, রিয়াজ, ছাত্রদল নেতাঃ রাকিব, শুভ, পারভেজ, মধুহাটি ইউনিয়ন কৃষক দল নেতা ইমরান ও সজীব। কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়ন বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় আহত হন বিএনপি নেতা- সফর আলী, যুবনেতা- লোকমান, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা-
আতিয়ার, যুবনেতা পিয়ার আলী। শৈলকুপা উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন যুবনেতা আনারুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল, যুবদল নেতা জুয়েল, বাবু, মাজেদ ও আসাদুল। কোটচাঁদপুর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আহত হন বলুহর ইউনিয়ন সভাপতি আশরাফ আলী, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, দোডা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শিমুল, যুবদল নেতা ওবায়দুল্লাহ সিরুসহ অনেক নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে ছাত্রদল নেতা সিরুর অবস্থা জটিল হওয়ার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর এ রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া কোটচাঁদপুর বলুহর ইউনিয়ন যুবদল নেতা এরফাদুল, পৌর যুবদল নেতা মনির হোসেন টুটুল, বলুহর ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল, স্বেচ্ছাসেবক নেতা হিরা, যুবদল নেতা বেনজামিন, খালেক, লিটন। কুমিল্লা উত্তর জেলাধীন মুরাদনগরে ৫টি স্পটে ১৪৪ ধারা, ৫২ জনের অধিক গ্রেফতার, মিছিলে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি কায়কোবাদ সাহেবের মামা বিএনপি নেতা সৈয়দ মোশতাক, যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল সামাদসহ শতাধিক আহত। ১৪৪ ধারা ভংগ করে হাইওয়েতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এছাড়াও মুরাদনগরের নেতা, সবেক সফল মন্ত্রী ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে গতরাত থেকে আওয়ামী পুলিশ বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহীউদ্দিন অঞ্জনসহ নেতা কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। বিএনপির সবকটি স্পটেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে। পুলিশ এ পর্যন্ত অর্ধশত লোককে গ্রেফতার করে। সর্বশেষ ইলিয়টগনজের নিকট মরাদনগরের অংশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মিছিল বের হলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা শাহ আলম সরকার, হাজী ইদ্রিস আলী, যুবদলের নেতা সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ, জাকির হোসেন, ছাত্রদল নেতা মোঃ আরিফ, মোঃ রমজান মিয়া, মোঃ ওমর উল্লাহ, মোঃ মান্নান, মোঃ আলম মেম্বার, মোঃ রাসেল, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ আমজাদ হোসেনসহ আরো অনেককে আহত করে। এছাড়াও মিছিলে আসা লোকদের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাখরাবাদ, নয়ামতকান্দি, পাঁচ পুকুরিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, ইলিয়টগঞ্জ স্পটগুলো থেকে নেতাকর্মীদের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী বাহিনী। ১৮ নং চালিয়াকান্দি ইউনিয়য়ন যুবদলের নেতার কাছ থেকে আওয়ামী পুলিশ ৫০০০ টাকা নিয়েছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফ এম তারেক মুন্সী, মুরাদনগর বিএনপি আহ্বায়ক মহীউদ্দীন অঞ্জন, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী তৌহিদ বাবু, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের নেতা অ্যাড. মনির হোসেন মারুফ প্রমুখ। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর হোসেনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খাবারের হোটেলে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
তারিখ : ৩০ আগষ্ট ২০২২
মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন গজারিয়া উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ, আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন, রাসেল দেওয়ান, হানিফ দেওয়ান, সুজন দেওয়ানসহ ১০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। নোয়াখালী জেলাধীন সেনবাগ উপজেলায় আওয়ামী পুলিশ বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকেও গ্রেফতার করছে পুলিশ। সোনাইমুড়ী উপজেলা ও সুধারাম মডেল থানায় আওয়ামী পুলিশ প্রায় শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিএনপি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। হাতিয়া উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় যুবদল নেতা দিদার উদ্দীন, ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী স্বপ্ন, মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ ১০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। গাজীপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালন করতে গেলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের হামলায় ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক ডিসি অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
খাগড়াছড়ি জেলাধীন মানিকছড়ি উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে চেয়ার-টেবিল, ব্যানার, ফেস্টুন ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ সময় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ শিকদার, ইব্রাহিম খলিল, এরশাদ মিয়া, মোঃ রমজান আলী, রুস্তম আলীসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব রাজু আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম সামাদ, পারভেজ হোসেন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার ফখরুজ্জামান রাসেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৫৪ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, ছাত্রদল নেতা মিথুন, বিএনপি নেতা হায়দার আলী, আব্দুর রহমান, ৯ নং বারো বাজার ইউনিয়নের যুবদল নেতা বিল্লাল হোসেন, আবু বক্কর, মোঃ আওলাদ হোসেন, সাহেব আলী, এরশাদ হোসেন, আকাশ হোসেন, মঈনুদ্দিন, শরীফ হোসেন; ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা পলাশ হোসেন, মিজানুর রহমান লবো, শামীম হোসেন, মাহবুব হোসেন, আশিফ হোসেন, ফেরদৌস, ফাইজুর রহমান, তুহিন হোসেন, হারুন, ওহাব, আলাউদ্দীন, সরোয়ার; ৪ নং নিয়ামতপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, লিটন হোসেন; ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম মীর, শহীদ মন্ডল, পল্টন হোসেন; ৬ নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা- জাহিদ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা হযরত আলী; ৩ নং কোলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহনাজ আলী মোল্লা, কামাল হোসেন, জামাল বিশ্বাস, মন্টু বিশ্বাস; ৮ নং মালিয়াট ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা ফারুক হোসেন, দীপু, জামাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, রসুল আমিন; ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাস্টার হাসানুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও আড়–য়াশলুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মোঃ ওলিয়ার রহমান এবং পান্নু মিয়ার নাকোবাড়িস্থ বসত বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। শ^শার পাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা রসুল আমিনের ব্যবহৃত মটর সাইকেল, সাথে টাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। কুমিল্লা উত্তর জেলাধীন তিতাস উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় গুরুতর আহত হন তিতাস উপজেলা বিএনপি উপদেষ্টা আক্তার ব্যাপারী, বিএনপি নেতা- মঈন উদ্দিন; ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ সুমন মেম্বার, তিতাস উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ ইসমাইল, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মাহবুব সরকার, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সরকার, ছাত্রদল নেতা আহমেদ সজিব সরকার, আল আমিন, হৃদয় হাসান, সিয়াম সরকার, সোহান; স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন হোসেন, বাবুল মিয়া; যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন নয়ন ও তার আপন ভাই শাখওয়াত হোসেন শাহিনকে বাড়িতে না পেয়ে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী, ছোট মেয়ে এবং ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রেশাদ খলিফা, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা হাসনাইন আহমেদ রাব্বি হাওলাদার, কৃষকদল নেতা আল ইমরান বিপ্লবের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে আহত করে। রাজশাহী মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম রনি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। মাগুরার শ্রীপুরে খামারপাড়া গৌরস্থান মোড়ে শ্রীকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুর রহমানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এছাড়া বিএনপি নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম ও জেলা যুবদল নেতা লিটন মোল্লাসহ আরো ২ জনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। চট্টগ্রাম মহানগরের ১৯ নং বাকুলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাদেরকে গুরুতর আহত করে। আমি অবিলম্বে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।