সাভারে বিএনপি নেতার দোয়া মাহফিলে হামলা, আহত অর্ধশতাধিক, গ্রেফতার ২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ৩১ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সাভারে বিএনপি ও যুবদল নেতা-কর্মীদের দোয়া মিলাদ মাহফিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি ককটেল ও দেশিয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন ২০ জন বিএনপি ও যুবদল কর্মীকে।
আজ বুধবার দুপুরে সাভার পৌরসভার ছায়াবিথী এলাকার বাসিন্দা ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের বাসভবনে সামনে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ দীর্ঘদিন পর সব মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় আসা এবং তার নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে তিনি এলাকাবাসী এবং বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দাওয়াত করেন। অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত নেতাকর্মীরা খোরশেদ আলমের বাসভবনের সামনে এবং রাস্তায় জড়ো হয়। বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে জানাজানি হলে সাভার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের কয়েকশো নেতাকর্মী জড়ো হয়ে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা সকলেই বিএনপি, যুবদলের নেতাকর্মী বলে জানা যায়।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম অনুমতি ছাড়া নিজ বাসভবনে সামনে বিএনপি ও যুবদল নেতা-কর্মীদের মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।
এ সময় নিয়মিত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে দেখে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি ও যুবদল নেতা-কর্মীরা। এরপর দফায় দফায় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করায় টহল পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশের উপর যুবদল নেতা-কর্মীরা আক্রমণ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পরে দেশিয় অস্ত্র ও ককটেলসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।