খুলনায় বিএনপির গুম বিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশের বাঁধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ৩০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৬ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আর্ন্তজাতিক গুম বিরোধী দিবসে খুলনায় বিএনপির মাননবন্ধন কর্মসূচি পুলিশের বাঁধায় বিঘ্নিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে সকাল ৯টার পর থানার মোড় থেকে শুরু করে বিএনপি অফিস এবং সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাথের দখল নেয় পুলিশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে গোটা এলাকা অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচলরতদের হুইসেল বাজিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়। দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নাম পরিচয় ও কর্মস্থল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের আচরণ জনমনে আতংক সৃষ্টি করে।
কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সাড়ে ১০ টা থেকে নগরীর ও জেলার বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় এলাকায় আসতে শুরু করেন। তবে আসার সময় বিভিন্ন স্থানে বাঁধাগ্রস্থ করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি ও মহড়ার কারণে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয় ছাড়াও বাজারের বিভিন্ন সড়কে ও বিপনী বিতানে অবস্থান নেন। ১১ টার কিছু পরে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী দলীয় কার্যালয় থেকে নেমে সামনের ফুটপাথে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদেরকে ঘিরে ফেলে। আশপাশ থেকে নেতাকর্মীরা কর্মসুচিস্থলে আসতে চাইলে পুলিশ লাঠি ও বন্দুক উচিয়ে তেড়ে যায় এবং বাঁশি ফুকিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে কয়েক দফা পুলিশের বাকবিত-া ঘটে।
দফায় দফায় পুলিশের বাঁধার এক পর্যায়ে বক্তৃতা শুরু করেন শফিকুল আলম তুহিন। এ সময় কয়েক শত নেতাকর্মী দুই কাতারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন শুরু করে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়লে পুলিশ এক পর্যায়ে পিছিয়ে গিয়ে রাস্তা ঘিরে অবস্থান নেয়। পুলিশের মারমুখি ভূমিকার কারণে কর্মসূচিতে মাইক ও ব্যানার ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় শফিকুল আলম মনা পুলিশের আচরণের তিব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একটি অবৈধ নিশিরাতের সরকারকে টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না। সরকারের বিদায় বেলা ঘনিয়ে এসেছে। এই সরকারের আমলে অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমদের সন্ধান পায়নি তাদের পরিবার। ফ্যাসিষ্ট সরকারের বানানো আয়নাঘরে হারিয়ে গেছে অসংখ্য তরুণ জীবন। এর প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধনের মতো একটি নিরীহ শান্তিপূর্ণ কর্মসুচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত জনগনের টাকায় পালিত পুলিশ অবৈধ সরকারকে রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে আমাদের কর্মসূচি বাঁধাগ্রস্থ করেছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মহানগর বিএনপি সভাপতি মনা বলেন, রাজপথই আমাদের আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। মাফিয়া সরকারকে উৎখাত করে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্ততি গ্রহণের আহবান জানান তিনি।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা টেক ব্যাক বাংলাদেশ, বাংলাদেশ যাবে কোনপথে ফয়সালা হবে রাজপথে সহ নানা শ্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফা উল বারী লাভলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী, রোবায়েত হোসেন বাবু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবির, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, মোঃ হাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, আরিফ রহমান, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, হাসানউল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, রফিকুল ইসলাম বাবু, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসারউদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নাসির খান, আব্দুস সালাম, দিদারুল হোসেন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, শামসুল বারিক পান্না, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, যুবদলের ইবাদুল হক রুবায়েদ, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, মহিলা দলের অ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, তাজিম বিশ^াস, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন, কাজী আব্দুল লতিফ, রিয়াজ শাহেদ, খোদাবক্স কোরাইশী কাল্লু, নুরুজ্জামান নিশাত, জাহিদুর রহমান রিপন, লিটন খান, ইউসুফ মোল্লা, মুনতাসির আল মামুন, মাহবুব হোসেন বাবলু, নুরুল ইসলাম নুরু, মেশকাত আলী, মতিফার রহমান বুলেট, সালাহউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কওসারী জাহান মঞ্জু, জাকির ইকবাল বাপ্পী প্রমুখ।