ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত ২০ আটক ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ২৯ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।
আজ সোমবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট সময় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সকারি পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সার্কেল মাশকুর রহমান, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আরিফুল করিম দোলন, যুবদল নেতা নুর আলম ভূঞা, আবুল হাসেশ, নুর করিম, বেলায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক ও নুর হোসেন প্রমুখ।
পুলিশ জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন এনায়েত শপিং কমপ্লেক্সেের সামনে আহূত সমাবেশ বানচাল করতে পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের ডাক দেয়। কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট দখলে নিয়ে লাঠিশোঠা হাতে মিছিল করতে থাকে। এ ছাড়াও ডাকবাংলা ও মমতিগঞ্জ নামক স্থানে পাহারা বসিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান করেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুলিশের অনুরেধে সংঘাত এড়াতে বিএনপি স্থান পরিবর্তন করে ভৈরব রাস্তা নামক স্থানে সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশ শুরুর কিছু সময় পর প্রধান সড়কে একটি কোস্টগার্ডের খালি গাড়ি দেখে পুলিশের গাড়ি মনে করে ৩০-৪০জন উৎশৃঙ্খল নেতাকর্মী গাড়িটি ধাওয়া করে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সামনে দায়ীত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ এসময় প্রায় ৪০ রাউন্ড করে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলম ভূঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যপী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, মানুষের নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য নিজেরাই রাস্তায় নেমে এসেছে। আমাদের কে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভাববেন না। আমাদের দলের নেতাও আছে, নেত্রীও আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে কোন বৈধ সরকার নেই। এই অবৈধ সরকার আমাদের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার সহ কোন ধরনের অধিকার ভোগ করতে দিচ্ছেনা। ভবিষ্যতে আর কখনো বাংলার মাটিতে এই সরকার কে ভোট চুরি করতে দেয়া হবেনা। যারা দুর্নীতি ও দেশের অর্থ লোপাটের সাথে জড়িত বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করা হবে। আপনারা শীঘ্রই দেখবেন আমাদের এ প্রতিবাদ তৃনমূল থেকে অনেক উপরে উঠছে। যখন এই আন্দোলন ঢাকা গিয়ে পৌঁছবে। তারা আমাদের এ প্রতিবাদকে প্রতিহত করতে
পারবেনা। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন যতক্ষন আমাদের অধিকার পুনরুদ্বার না হয় ততক্ষন আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যড. শাহানা আক্তার শানু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, এনডিপি'র চেয়ারম্যান আবু তাহের খান, ফেনী-৩ ( সোনাগাজী-দাগনভূঞা) বিএনপির সমন্বয়ক আকবর হোসেন, ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন গঠন।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিন উদ্দিন দোলন, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদিন বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন বাবর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক দাউদুল ইসলাম মিনার, জেলা যুবদলের সাংগগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খুরশিদ আলম ভূইয়া, সদস্য সচিক ইমাম হোসেন প্রবির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ নূর ও সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।