সরকার দেশে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা’ করছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ২৯ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৯ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকার দেশে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে দলের ঘোষিত চলমান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনদের হামলার ঘটনাসমূহ তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাদেশে এতো দিন ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে তারা এখন একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে, নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা শুরু করেছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, দলীয় কার্যালয়ে, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, নেতা-কর্মীদের খুন-জখম করছে। একবারও তারা (ক্ষমতাসীন দল) চিন্তা করছে না যে, কাজটা তারা শুরু করেছে- এটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। প্রকৃতপক্ষে এই আন্দোলনে সম্পূর্ণভাবে বর্তমান অবৈধ সরকার তারা ভীত হয়ে, সন্ত্রস্ত হয়ে আজকে আবার সেই তাদের দমননীতি চালিয়ে যেতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বললেন যে, কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না, সভা-সমিতি সব কিছু করতে দেয়া হবে। তারা কথা বলবেন একটা আর কাজ করবেন আরেকটা। এখন দেখা যাচ্ছে যে, ঠিক উল্টা কাজটি তারা এখন করছেন। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের যে সন্ত্রাসী চরিত্র সেটা আরো একবার এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে। এভাবেই তারা এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করেছে।
কর্মসূচি : মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ঘোষিত উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব উপজেলা ও থানায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে এই বিক্ষোভের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এর পরে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক জ¦ালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নুরে আলম এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা/সমাবেশ/মিছিলের কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং পুলিশের হামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ : গতকাল যশোর জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নারকীয় হামলা হয়েছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চলছে।
২২ আগস্ট : ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তারেক হোসেনের ওপর পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং তার দোকান ভাঙচুর করে। সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত শ্যামনগর উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহরিয়ার মাসুদকে যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে এবং পরবর্তীতে পুলিশ হয়রানিমূলক মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে। পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে যুবদল নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মঈন, জাবায়ের হোসেন, শ্রমিক দল নেতা গিয়াস মোল্লা, রাশেদুল প্যাদা, হায়দার আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল ইসলাম তালুকদার, শ্রমিক দল নেতা মোঃ হাবিবুর রাহমান, ছাত্রদল নেতা মোঃ রাকিব, যুবদল নেতা মোঃ সাহেব আলী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ এমাদুল, মোঃ রফিক, ছাত্রদল নেতা মোঃ রাশেদুল ইসলাম, রাজীব মাহামুদ, শ্রমিক দল নেতা জাকির প্যাদা, বিএনপি নেতা আলম পন্ডিত, যুবদল নেতা আঃ জলিল, যুবদল নেতা আবু তালেব, পারভেজ শিকদার, মোঃ জসিম খান, মোঃ শাহ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আফজাল হোসেন, কৃষকদল নেতা মোঃ সোহাগ, ছাত্রদল নেতা মোঃ অলিউল গুরুতর আহত করে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গতকাল কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল শান্তিপূর্র্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পুলিশ মিছিলের ওপর হামলা করে ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল নাইম চৌধুরী রিকু ও বাঁশখালী পৌরসভার নেত্রী শারাবান তহুরা ফেরদৌসী কলি, ছাত্রদল নেতা ইমরান, পারভেজসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন, লুতু মেম্বার, আবদুল ওহাব, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন ইউসুফ, কৃষকদলের পলাশ, যুবদলের মোহাম্মদ জাফর, আবু তাহের, শফিউল করিম শফিক শহীদুল ইসলাম, ছাত্রদলের ইব্রাহিম, বেলাল, আজগর, এনামুল হক, ইমন ও মোহাম্মদ ফারুকসহ আহত ৩০ জনের অধিক। নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল প্রস্তুতি সভা চলাকালীন সময়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমানের বাসভবনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরের গাড়ি ভাঙচুর এবং ছাত্রদল নেতা মুরাদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। রায়পুরায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বকুলের এলাকায় অসংখ্য পুলিশ, ছাত্রলীগ আর যুবলীগের বাধার সম্মুখীন হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে পূর্বঘোষিত শ্রীরামপুরের গরুর বাজার মাঠে প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে রায়পুরা বিএনপি রায়পুরার ‘যুগির বাড়ির মোড় বালি মাঠে’ সভা সরিয়ে নিলেও সেখানেও পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে এবং নেতাকর্মীদেরকে আহত করে। যশোরে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন এবং সদস্য মিজানুর রহমান খানের বাসভবনে গতকাল মধ্যরাতে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। উপজেলাব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি ও হুমকি অব্যাহত রয়েছে। হামলায় আহত হন বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন ইউসুফ। গ্রেফতার হয়েছেন ছাত্রদল নেতা ইমরান ও পারভেজ। ঢাকা পলিটেকনিক ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ রহমান তার নিজ এলাকা নরসিংদীতে একটি কর্মসূচিতে অংশ নিলে ছাত্রলীগের নিষ্ঠুর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাঙ্গামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলাতে কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রদল নেতা মোঃ আল আমিন, যুবদল নেতা মোঃ রফিকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বাগেরহাট জেলাধীন সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ন্যক্কারজনক হামলা চালায় এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের বাসভবন ভাঙচুর করে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা ইরফানুল হাসান রকি, জয়নাল আবেদিন হিরণ, যুবদল নেতা আলমগীর মঞ্জুসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।
নোয়াখালীতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানাসহ চাটখিল উপজেলা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা : লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ৪০টি মোটরসাইকেলযোগে এসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির কায়দায় বেপরোয়া ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে এ্যানিকে বাসায় না পেয়ে তার ভাই ও ছেলেসহ চারজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সন্ত্রাসীরা বাসার এসিসহ মূল্যবান আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে। জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় কর্মসূচি শেষ করার পর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব, সাবেক ভিপি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামান মতিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মাদারগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা কর্মসূচি চলাকালীন হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা কাজল, আইন উদ্দীন, সাইফুল, যুবদল নেতা স্বপন ও শ্রমিক দল নেতা মনুসহ ১৫/২০ জন নেতা কর্মীকে আহত করে। কুমিল্লার দেবিদ্দার বাগুর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
২৩ আগস্ট : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করলে ৫/৬ জন গুরুতর আহতসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়, ৫০টির অধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ১৫/২০টি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মেহেরপুর জেলাধীন গাংনীতে ছাত্রলীগ কর্তৃক বিএনপি অফিসে হামলা ও বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নোয়াখালীতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ (দক্ষিণ) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বিএনপির একটি মার্কেটেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাগেরহাটের রামপালে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা মাহফুজ মাসুম বিল্লাল ও ওয়াদুদ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
২৪ আগস্ট : টাঙ্গাইল, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ ও সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা ও মানিকছড়ি উপজেলায় নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
২৫ আগস্ট : টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং ৪/৫ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। ফেনী জেলাধীন ছাগলনাইয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী ক্যাডাররা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সমাবেশ চলাকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। হামলায় বিএনপি নেতা মকবুল, আমিরুল, যুবদল নেতা মাসুদ, কাইয়ুম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল, আল মামুন, ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম, নাসিম হোসেন, ডানো, শ্রমিক দল নেতা উজ্জল, শফিকুলসহ ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। হামলাকারীরা নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। গাইবান্ধা জেলাধীন গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ ও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, থানা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফারুক আহমেদ, ছাত্রদল নেতা শাওন প্রধান, আহসান হাবিব, আকাশ প্রধান, শাফিন আহম্মেদ, মিরাজ, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেলাল, কৃষকদল নেতা শাহ জামাল হেলাল, যুবদল নেতা রানা, ইব্রাহিম মুন্নাসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির কার্যালয় এবং ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহবায়ক সুলতান সালাউদ্দিন লিটনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কৃষকদল নেতা মফিজ সরদার, ফরিদ জমাদ্দার, কাশেম ও জামাল হোসেনকে গুরুতর আহত করেছে। খাগড়াছড়ি জেলাধীন লক্ষীছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা রবিউল, এসকেন্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর করিম ও কবিরসহ ৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। খুলনার দৌলতপুরে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বিএনপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং নেতাকর্মীদেরকে আহত করে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক নাসির, ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল কমিশনার ও পৌর বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলামসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও সকল ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। এছাড়া টাঙ্গাইল বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সাটুরিয়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম কেরন মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীরা। খারনৈ ইউনিয়ন বিএনপির ৭ নং গোবিন্দপুর ওয়ার্ডে বিএনপির সভা চলাকালে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। পরবর্তীতে বাউশাম বাজারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে একইভাবে উক্ত বাজারে বিএনপির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুঁজে খুঁজে প্রায় ১৮টি দোকানে হামলা, লুটপাট এবং ভাঙচুর করে, আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীরা খারনৈ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজারে গিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করি আক্তারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুটপাট করে ও বাড়ি সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা মোঃ মনজাত আলী, ইসমাইল এবং মোহাম্মদ খলিল মিয়াকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা এখন ময়মনসিংহ চরপাড়া সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কর্মীদের খুঁজে খুঁজে হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীরা। হামলায় মোট ২১ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতিকালে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফয়সাল ও ইমনের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে, তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৬ আগস্ট : নরসিংদী, খুলনা, ঝিনাইদহ গাজীপুরের কালিগঞ্জ, নড়াইল, বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা, পটুয়াখালী ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করেছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। রাজশাহী মহানগরের অন্তর্ভুক্ত কাশিয়াডাঙ্গা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম রনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করেছে, তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আবু নাঈম হালিমকে গতকাল তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ এবং ছাত্রদল নেতা শাহীন তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলাধীন চাটখিলে বিক্ষোভ কর্মসূচির আগের রাতে ২৫ আগস্ট তারিখে যুবদল নেতা ওমর ফারুক (ভিপি ফারুক), বিএনপি নেতা জালাল আহমেদ, পাপ্পু, ছাত্রদল নেতা আরিফ ভুঁইয়াসহ মোট ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর করে। এতে উপজেলা বিএনপি নেতা আবু হানিফ, ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা, যুবদল নেতা ওমর ফারুক গুরুতর আহত হয়। এছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা শাহজাহান রানা, মোস্তফা কামাল, দেওয়ান শামীম, আহসানুল হক মাসুদসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিএনপি নেতা হাফিজুল ইসলাম খানসহ প্রায় ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এই ঘটনায় উল্টো বিএনপির ৩০০ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে।
২৭ আগস্ট : যশোর জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা চলছে। ১৩ নং কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৫৪ জন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বাঁশখালী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে গুনাঘুরীতে পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম শহিদসহ ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ছাত্রদল নেতা মোঃ পারভেজ, তারিকুল ইসলাম ও মোঃ ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ মোট ৫৬ জনকে আসামিকে করে ৩টি মামলা দায়ের করে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাতে সন্দ্বীপ উপজেলাধীন গাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন পান্না ও আমানুল্লাহ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুনছুর আলমের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে, পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুমকি-ধামকি দেয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় কালাপানিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মাইট ভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবুল হুজুর, ছাত্রদল সভাপতি সাইফুল, যুবদল নেতা মহিউদ্দিনসহ প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর ্আহত করেছে। আহত নেতাকর্মীরা ভোলা সদর ও বশিালের বিভিন্ন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাগুরা সদর ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে উপজেলার পাশে বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতা মোঃ মনোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলায় ২০ জনের অধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। সমাবেশস্থল থেকে পুলিশ মাগুরা সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ কুতুব উদ্দিন রানা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান ফিরোজ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান রাজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড সভাপতি শাখওয়াত হোসেন সাকু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তিতাস ও সবদালপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ রিপন হোসেনকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতদের কোর্টে হস্তান্তর করেনি। কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার ছেলেসহ ৬/৭ জন নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলাধীন দিঘিনালা উপজেলায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে কর্মসূচির আগের রাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সিএনজি পুড়িয়ে উল্টো ৫৪ জনের নামে মামলা দিয়েছে। সোনাইমুড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২৭ আগস্ট বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে উল্টো বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মামুনুর রশিদ মামুন, বিএনপি নেতা কামাল, অ্যাড. তুহিন চৌধুরী, মোতাহার হোসেন মানিক, রেজায়ে রাব্বি মাহবুব, হেলাল উদ্দিন টুটুলসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনাইমুড়িতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা জুবায়েরের পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সামসুদ্দিন মিশন এবং আনোয়ার হোসেনকে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা হেলাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। মোট আহত ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
২৮ আগস্ট : পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ডা: আলমগীর, বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী বাবুল, টিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কালাম, ছাত্রদল নেতা জাকির, রিয়াজ, জুয়েল মুসল্লিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ছাত্রদল নেতা আসিফ হোসেন, মোঃ হানজালা, নাঈম ইসলাম ও শাওন হোসেন। টাঙ্গাইল জেলার কালীহাতি উপজেলা বিএনপি সমাবেশে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু উপস্থিত হওয়ার প্রাককালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০/১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়।
ঘাটাইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি সভা চলাকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। পরবর্তীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার পর উল্টো বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. ওবায়দুল হক নাসিরসহ ৩৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহাতির বাবু, শাহ আলী, সাদ্দাম হোসেন ও আমিনুল ইসলামসহ বেশ নেতাকর্মী আহত হয়। হবিগঞ্জ জেলার জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম ও নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন তালুকদারকে গত ২৬ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করার পর তারা দুজনসহ ৬৪ জন নেতাকর্মীর নামে গতকাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা পারভেজ হাসানকে গুরুতর আহত করে। রামগড় উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ভুইয়ার রামগড়ের বাড়িসহ পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ ভূঁইয়ার বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও রামগড় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। বরিশাল উত্তর জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যপক ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়। নেত্রকোণা জেলাধীন কেন্দুয়া উপজেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, মোঃ মাসুদের হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় তমরুদ্দিন বাজারে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যুবদল নেতা রুবেল মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। দ্বীপ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ আশরাফের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় বাসস্ট্যান্ডের হেতিমদীতে পুলিশ গুলি চালিয়ে শ্রমিক দল নেতা জাকির হোসেন আকন্দ বাবুল, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান সোহাগ, জিয়া, মোজাম্মেল, কমিশনার সামসুন্নাহার, ছাত্রদল নেতা মনিরুজ্জামান ছোটন, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম মেম্বার, মজিবুর মেম্বার, ছাত্রদল নেতা মাহবুব খন্দকার, আপন, বাঁধন, রিয়াদ, স্বপনসহ ২৮ জনকে গুলিবিদ্ধ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গতরাতে কসবা উপজেলা বিএনপি নেতা ওসমান হারুনুর রশীদ শাহীন এবং কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা তারেক, ছোটন, রাজিবসহ ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। কসবায় কাইয়ুমপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ২০ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করেছে। তারা এখন কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কুমিল্লার দাউদকান্দির শহীদনগরে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে আহত করেছে। আহত হয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, হেলাল ইসাহাক, জেলা যুবদল নেতা ভিপি শাহাবুদ্দিন, ইয়াকুব সরকার গিলজার মাসুদ, বিএনপি নেতা নুর মোঃ সেলিম, কায়সার, রাজ্জাক, আউয়াল, ছাত্রদল নেতা আসিফ কবির, মুক্তার, রিমন খন্দকার, যুবদল নেতা মোহন, নাজমুল, রিফাত ও রাহাত প্রমুখ। এ পর্যন্ত মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত হয়েছেন ৭৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।