আ'লীগের হামলা ঠেকাতে মুক্তাগাছা বিএনপির লাঠি মিছিল, যুবলীগের মামলায় আসামি ২৬১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ২৯ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আ'লীগের হামলা ঠেকাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় বিএনপির লাঠি মিছিলের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আজাহার নামের এক যুবলীগ কর্মী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার সকালে মুক্তাগাছা থানায় দন্ডবিধির ৩২৬ ধারা'সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামি হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৬১ জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান লেবুকে প্রধান আসামি করে এজাহারে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার ২৭ নং আসামি মো: গোলাপ খানকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে গতকাল ২৮ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গাবতলী ও কালীবাড়ী এলাকায় জ্বালানি, পরিবহন ও দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি এবং দুই নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ওয়ার্র্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ মিছিল করে ৭ নং ঘোগা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।
এ সময় বিএনপির শত শত নেতাকর্মী হাতে বাঁশের লাঠি ও কাঠের ফালিতে ধানের শীষের ছড়া ঝুলিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করে।
মামলার বাদি আজাহার এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি যুবলীগ নেতা মনি (উপজেলা যুবলীগ সভাপতি) ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করি। আমার কোন পদ নাই, কর্মী হিসেবে আছি। গতকাল (২৮ আগষ্ট) বিএনপির লাঠি মিছিলের লোকজন আমিসহ বেশ কয়েকজনকে খুব মারপিট করেছে, তাই আমি মামলা করেছি।
তবে মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে তিনি জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনে বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নমিনি ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ জাকির হোসেন বাবলু বলেন, ঘটনার দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনের জন্য ঘোগা ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির এই কর্মসূচীকে প্রতিহত করতে পাশেই কালীবাড়ী নামক স্থানে অহেতুক কর্মসূচী দিয়ে জড়ো হয়ে বিএনপি শান্তিপূর্ন ভাবে মিছিলে হামলা করে।
এতে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন'সহ অসংখ্য নেতাকর্মী মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।