এবার আর নিশিরাতের ভোট হতে দেয়া হবে না : রুমিন ফারহানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ২৯ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪১ এএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেছেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। এবার আর নিশিরাতের ভোট হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, শতভাগ নয় মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই কমপক্ষে আড়াই শ’ আসন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।
সারাদেশে বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, তেল, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বন্দর এলাকার বিওসি ঘাটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: জিল্লুর রহমান ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এন তরুন দে প্রমুখ।
অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: নাসির উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমেদ জয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উকিল আব্দুস সাত্তার এমপি বলেন, অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন জুলুমে দেশের মানুষ আজ নিষ্পেষিত। এরই মাঝে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট হলে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি আরো বলেন, ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী দুঃশাসনের পর ক্ষমতা হারিয়ে ২৫ বছর পর জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, অতীতের পুনরাবৃত্তি করবে না ওয়াদা করে ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সব ভুলে গিয়েছে, পুরোনো চেহারায় আভির্ভূত হয়েছে। তাই দেশের মানুষ তাদেরকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে নব্য বাকশাল কায়েম করে। দুটি নির্বানের একটিতে বিনা ভোটে এবং অপরটিতে নিশিরাতের ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আকঁড়ে থাকে। এবার ইভিএম দিয়ে জালিয়াতি করতে চায়।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ইভিএমের নামে রঙ্গ করতে দেয়া হবে না, ভোট হবে ব্যালটে; নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।’
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে এত কথা বলেছেন, এখন ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং কেন? জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর দাম বাড়িয়ে জনজীবন যেভাবে দুর্বিষহ করে তুলেছেন এতে আপনাদের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘এখন আপনাদের দেশের মানুষের উপর ভরসা নেই। তাই, ভারতের কাছে গিয়ে আরেকবার ক্ষমতায় এনে দিতে প্রার্থনা করছেন। আপনাদের লজ্জা করে না?’
তিনি নির্বিচারে খুন ও গুমের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘এসব পাপের জন্য আপনাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে ইনশাআল্লাহ।’