অবিচারের যন্ত্রণায় গোটা জাতি ছটফট করছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৮ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অবিচারের শরাঘাতে গোটা জাতি এক অনুচ্চারিত যন্ত্রণায় ছটফট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ও দলটির প্রধান নেত্রীর বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করা মানে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হওয়া। আওয়ামী রাজনীতির যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তা প্রচলিত কোনো সংজ্ঞা দিয়ে বর্ণনা করা যাবে না। এরা স্বার্থসর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না বলেই জনগণকে হরেক কিসিমের প্রতারণার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে সপ্তাহে একদিনের বেশি তাকে টেলিভিশনে দেখা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের প্রধান নেত্রীর বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করা মানে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হওয়া। আওয়ামী রাজনীতির যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তা প্রচলিত কোনো সংজ্ঞা দ্বারা বর্ণনা করা যাবে না। এরা স্বার্থসর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না বলেই জনগণকে হরেক কিসিমের প্রতারণার দ্বারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে সপ্তাহে একদিনের বেশি তাকে টেলিভিশনে দেখা যাবে না। ক’দিন আগেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আর গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি দেখেছি-এখন প্রতিদিন সকল টেলিভিশনের আলো প্রক্ষেপিত হয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে। গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পত্রিকার প্রথম পাতায় কয়েক কলাম জুড়ে থাকে প্রধানমন্ত্রী বা তার পরিবারের গুণগান। বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের সংবাদ প্রচারে বিধি-নিষেধের খড়গ ঝুলে থাকে। বিরোধী দলের ওপর হামলা হবে না, এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা কি দেখছি, বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির ওপর উপর্যুপরি হামলা হচ্ছে এবং রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়ে নিহতসহ আহত করা হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সম্প্রতি ভোলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যা এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়- শেখ হাসিনা সারাজাতির সাথে নিষ্ঠুর মশকরা ও প্রতারণা করেন। এরা লগি-বৈঠার ধারাবাহিকতা, জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি, টকশোতে চোখ তুলে নেয়ার হুমকি ইত্যাদি আওয়ামী সংস্কৃতির নমুনা। সহিংসতা আর দুষ্কর্মের সংমিশ্রণে গঠিত আওয়ামী লীগ। এদের কারণেই বর্তমান সময় সংকটময় ও সমস্যাদ্বীর্ণ গণতন্ত্রের সময়। দেশে এখন সীমাহীন দারিদ্র্য, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অসাম্যের এক অন্ধকার মধ্যযুগীয় পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ক’দিন আগেও একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন-বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না। অথচ ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচির ওপর চলছে নারকীয় আক্রমণ এবং মিথ্যা মামলা দায়েরসহ গ্রেফতারের হিড়িক। ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে যেখানেই বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানেই হামলা চালিয়ে রক্ত ঝরানো হচ্ছে। এরা গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর বক্তব্য রুচিহীন, নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং দায়িত্বজ্ঞানবর্জিত। এরা পেশীশক্তি ও জিহ্বার ধার দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর উদগ্র ক্ষমতালোভ, জনগণের প্রতি অমানবিক অবজ্ঞা গোটা জাতিকে এক করুণ দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। অবিচারের শরাঘাতে গোটা জাতি এক অনুচ্চারিত যন্ত্রণায় ছটপট করছে। রাগ, ঘৃণা ও প্রতিবাদে আগ্নেয়গিরি হয়ে আছে দেশবাসী। সরকারি সকল জুলুম, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামছে রাজপথে। জ্বালানি তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানো, ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী শক্তি অনড়। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশের যেসব এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচেœ উল্লেখ করা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, আজ ২৮ আগস্ট রবিবার, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ডা: আলমগীর, বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী বাবুল, টিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কালাম, ছাত্রদল নেতা জাকির, রিয়াজ, জুয়েল মুসল্লিসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলায় তবলছড়ি গ্রীনহিল কলেজে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তালা মেরে কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা আজ দুপুরে তাইন্দং ইউনিয়ন ছাত্রদলের ১ নং যুগ্ম সম্পাদক মোঃ পারভেজের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ছাত্রদল নেতা আসিফ হোসেন, মোঃ হানজালা, নাঈম ইসলাম ও শাওন হোসেন।
যশোর জেলা : আজ আদালত থেকে বের হবার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নারকীয় হামলা হয়েছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এছাড়া যশোর জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা চলছে। ১৩ নং কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৫৪ জন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে আহত করার পর উল্টো বিএনপি নেতা সেলিম মোল্লা, জুয়েল মোল্লা, আনসার আলী, ছাত্রদল নেতা পাভেল মোল্লা, শান্ত, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং রোমান মোল্লাসহ ৫১ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা : কালীহাতি উপজেলা বিএনপির সমাবেশে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু উপস্থিত হওয়ার প্রাক্কালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০/১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। ঘাটাইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি সভা চলাকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। পরবর্তীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার পর উল্টো বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. ওবায়দুল হক নাসিরসহ ৩৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা : গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহাতির বাবু, শাহ আলী, সাদ্দাম হোসেন ও আমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা : বাঁশখালী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে গুনাঘুরীতে পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম শহিদসহ ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ছাত্রদল নেতা মোঃ পারভেজ, তারিকুল ইসলাম ও মোঃ ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ মোট ৫৬ জনকে আসামিকে করে ৩টি মামলা দায়ের করে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা : গতকাল রাতে সন্দ্বীপ উপজেলাধীন গাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন পান্না ও আমানুল্লাহ ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুনছুর আলমের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে, পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুমকি-ধামকি দেয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় কালাপানিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মাইট ভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবুল হুজুর, ছাত্রদল সভাপতি সাইফুল, যুবদল নেতা মহিউদ্দিনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
হবিগঞ্জ জেলা : জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম ও নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন তালুকদারকে গত ২৬ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করার পর তারা দুজনসহ ৬৪ জন নেতাকর্মীর নামে আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসুচি চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। আহত নেতাকর্মীরা ভোলা সদর ও বশিালের বিভিন্ন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাগুরা জেলা : মাগুরা সদর ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে গতকাল উপজেলার পাশে বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে মাগুরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ মনোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলায় ২০ জনের অধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। সমাবেশস্থল থেকে পুলিশ মাগুরা সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ কুতুব উদ্দিন রানা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান ফিরোজ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান রাজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড সভাপতি শাখওয়াত হোসেন সাকু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তিতাস ও সবদালপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ রিপন হোসেনকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতদের কোর্টে হস্তান্তর করেনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল এবং আজ এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৃশংস ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেক নেতাকর্মীকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এসব বর্বরোচিত ঘটনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আটককৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।