ভোলার দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী দ্বারা পরিচালিত : হাফিজ ইব্রাহীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ২৮ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৫ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫
বিএনপির নেতা ভোলা-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীম বলেছেন, ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী দ্বারা পরিচালিত। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী তাদের অধীনে, তারা বাংলাদেশের নয়। তাই বাংলাদেশের মানুষকে তাদের দুঃখ দূর্দশার কথা দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনের প্রকাশ করতে দেননি। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে বোরহান উদ্দিনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে মানুষকে জায়গা দেওয়া যাবেনা, আওয়ামী লীগ যে জনসমর্থনে শুন্যের কোঠায় তা প্রমান হয়ে গেছে। ওইখানে শুধু প্রশাসন তোফায়েল বাহিনীর কথা চলবে। তাই পুলিশ বোরহান উদ্দিনে যাওয়ার পথে ভোলা সদরের যুগীর ঘোল চত্বরে আমাদের গাড়ি বহরের গতি রোধ করে বেরিকেট দিয়ে রেখেছেন।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগের সকল পুলিশ কি এখানেই এনে রেখেছেন শুধু বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বাধা দিতে। ভোলার সকল বিএনপির নেতা আসলে সারা বাংলার পুলিশ এনেওতো আর বাধা দিয়ে রাখতে পারবেননা। জানি আপনারাও নিরুপায়, আপনাদের হাত-পাও বাধা। তবে এবাধাঁ আর বেশী দিন থাকবেনা। মানুষের ভোটের অধিকার হরন করে লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। তারা এখন জনগণের সঙ্গে রশিকতা করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসছে। মানুষ মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চায়, গণতন্ত্র চায়। এ সরকারের পতন ছাড়া তা সম্ভব নয়। এখন নৌকার তলা ফুটো হয়ে গেছে। কাঠ দিয়ে তালি দিয়ে রক্ষা করতে পারবেন না। জনগণ এখন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। অচিরেই এ সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ।
আজ রবিবার (২৮ আগস্ট) সকালে বোরহান উদ্দিন ইপজেলা বিএনপি আয়োজিত ভিক্ষোব সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে, ভোলার যুগীর ঘোল চত্বরে পুলিশের বাধার মুখে পরে ওইখানে পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসচির অংশ হিসেবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠন, জ্বালানি তেল, গণপরিবহনের ভাড়া, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রম্যান, সহ সভাপতি শফিউর রহমান কিরন, রাইসুল আলম, ইয়ারুল আলম লিটন, এনামুল হক, বশির হাওলাদার, আবু নোমান, মোঃ শফিউল্লাহ, যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, ফেরদাউসসহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পুলিশের বাধার প্রতিবদে জেলা বিএনপির মহাজন পট্টি কার্যালয়ে এক সংবকাদ সন্মেলন করেন হাফিজ ইব্রাহীম।