বাগেরহাটে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, সাবেক এমপিসহ ৩৫ নেতাকর্মী আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২৬ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাগেরহাটে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় ছাত্রদল সভাপতি খুন ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বাগেরহাট পৌর বিএনপির আয়োজনে শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, কামরুল ইসলামগোরা প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় শেষ হয়। মিছিলে বাগেরহাট জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল, মহিলা দল, ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ স্থলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। বিক্ষোভ মিছিলের সামনে ও পিছনে ছিল পুলিশ সদস্যদের সরব উপস্থিতি। এদিকে মিছিল ও সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম।
তিনি বলেন, সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আমাদের উপর সসস্ত্র হামলা করে। তাদের হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আহত বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, ফকিরহাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসকে বদরুল আলম, শরণখোলা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ফিরোজ তালুকদার, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ফকের গাজী, সাধারণ সমআদক বাচ্চু আকন, বাশতলী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি শেখ ফিরোজ কবির, সদর থানা যুবদল নেতা ইয়াছিন মোল্লা বাবু, যুবদল কর্মী রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী মিজান, হোসেন আলী, ছাত্রদল কর্মী মো. আলী তুহিন ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলার বাগেরহাট প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান শিমুল প্রমুখ আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ও উপজেলা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার জাকির হোসেনের বাড়িসহ বেশকিছু নেতাকর্মীর বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর একঘণ্টা ধরে কলেজ রোড়. সম্মিলনী স্কুল মোড়, পিসি কলেজ, মেডিকেল স্কুল সড়ক. নূর মসজিদ রোড, এলজিডি মোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামল চালায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান বলেন, সব থেকে দু:খজনক হচ্ছে পুলিশের সামনে সরকার দলীয় লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। আমরা হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।
এঘটনার পরপরই শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।