ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমে এই দেশে কোন নির্বাচন হবে না : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে আগামী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে আবারো প্রমাণ হয়েছে এই নির্বাচন কমিশনও অতীতের কমিশনের মতো আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ। আগামী নির্বাচন কার অধীনে হবে তা জনগণ ইতিমধ্যেই নির্ধারণ করে ফেলেছে। ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমে কোন ভোট হবে না। আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হবে। তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে ব্যালট পেপারে নির্বাচন দিবে। অতীতের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ইভিএমে ভোট ডাকাতি করে এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। ইতিমধ্যেই অবৈধ এই সরকারের কাঁপন ধরেছে, জনগণ জেগে উঠেছে। পালানোর সুযোগ পাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর নতুন ব্রিজ মোড়ে বাকলিয়া থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে পদত্যাগ করুন। একদলীয় নির্বাচন অনেক হয়েছে। এদেশের জনগণ আর মেনে নিবে না। একদলীয় ভাবে দেশ শাসন করে জনগণের অর্থ লুটেপুড়ে খেয়েছেন। এবার হিসাব দিতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ের বিএনপি রাজপথে থাকবে। এখন এক দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ এর মাধ্যমে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপির ঘরে ফিরবে।
বাকলিয়া নতুন ব্রিজ মোড় থেকে মিছিল শুরু করে রাজাখালী, তুলাতলী, কল্পলোক আবাসিক, কালামিয়া বাজার হয়ে কে.বি কনভেনশন সেন্টারের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন বলে বলছিলেন। আজ সেই দশ টাকার চাল কোথায়? ঘরে ঘরে চাকরি কোথায়? মিথ্যার জুলি দিয়ে জনগণকে একবার ধোকা দেওয়া যায়। কিন্তু বারবার ধোকা দেওয়া যায় না। এই সরকারের অধীনে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেঘা দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতির টাকা কোথায় জনগণ তা জানতে চায়?
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, দেশের মানুষ আজ শান্তিতে নেই। এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠিত। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকারের পদত্যাগ চায়।
বাকলিয়া থানা বিএনপির সিঃ সহ -সভাপতি এম.আই চৌধুরী মামুনের সভাপতিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনচ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, নগর বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ তৈয়ব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, নগর বিএনপি নেতা ইয়াসিন চৌধুরী আসু,ইব্রাহিম বাচ্চু, হাসেম সাওদাগর, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইসমাইল বাবুল, আলমগীর নূর, ইউনুচ চৌধুরী হাকিম, এ কে খান,আলী ইউসুফ, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা,বাকলিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর, ১৯ নং ওয়ার্ড এমপি সভাপতি হাজী নবাব খান, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ সেকান্দর, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সগীর, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মহিউদ্দিন, হাজী এমরান উদ্দিন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম,নূর হোসেন নুরু, বিএনপি নেতা হাজী আইয়ুব, এসএম সেলিম, রৌশগীর আমিন,এ.টিএম.ফরিদুল,আলী আজগর, হাজী ইউনুছ, কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নাজিমুল হক নাজু, নগর যুবদল নেতা মোঃ ইলিয়াস, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, আসাদুর রহমান টিপু, , বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা ইসমাইল হোসেন লেদু, মোঃ সেলিম,মোঃ মুসা, মুস্তাকিম মাহমুদ, মোঃ নুরুদ্দিন, মহিলা দলনেত্রী রেজিয়া বেগম মুন্নি, কামরুন নাহার, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মিহির, আরিফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।