বর্তমান সরকার জনগণ বিমূখ ও ভারতমূখী : শাহজাহান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২৩ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্রগ্রাম বিভাগীর বিএনপির দলনেতা মো: শাহজাহান বলেছেন, সরকার জ্বালানি তেল, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বাড়াচ্ছে তাতে দেশে দুর্ভীক্ষ দেখা দেবে। দ্রব্যমূল্যের অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করছে সরকার। দ্রুত এ সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমান সরকার জনগণ বিমূখ ও ভারতমূখী সরকার বলেও আখ্যা দেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন মো: শাহজাহান। দলের কেউ আবোল তাবোল বললে তারা বলে এরা আ'লীগের কেউ না, সত্য কথা বলা লোকদের বলে এরা দলের কেউ না, এক সময় আ'লীগের ওরা কেউ না, এরা কেউ না বলতে বলতে আর আ'লীগের কেউ থাকবেনা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
জ্বালানী তেল, পরিবহণ ভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা আবদুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
মো: শাহজাহান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের কথায় তারাই প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা ভারতের দালাল এবং তারা তারা ভারত নির্ভর সরকার। ভারেতের এই সেবাদাশ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের কথায় প্রমাণ হয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছে। রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে ভারতের তাবেদারী করার জন্য নয়।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ হচ্ছে আইন শৃঙøলা রক্ষা করা। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি এই পুলিশ ভাইয়েরাই আবার আমাদের সরকারের সাথে কাজ করবে। তবে তাদের প্রতি অনুরোধ সরকার কোনো অন্যায় আদেশ দিলে আপনার তা বিবেচনা করবেন। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে। জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুর, ধ্বংস, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এসবে বিএনপি বিশ্বাস করেনা। আজকের শান্তিপূর্ণ জনস্রোত তাই প্রমাণ করে এবং ভবিষ্যতেও প্রমাণ করবে।
মো. শাহজাহান আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এ দলের প্রতি আল্লার রহমত নেই। এদের আগামী দিন পতনের দিন। এদের আগামীর সময় দুঃসময়। আওয়ামী লীগ কিন্তু আওয়ামী লীগকে সম্মান দেয় না। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে যে সব কথা বলে এগুলো আমাদের মুখেও আসেনা। ঘরের কথা বাহিরের লোক কখন জানে। যখন ওই দল এবং ঘর আল্লার রহমত থেকে বঞ্চিত হয় তখন। এক মন্ত্রী ভারতে গিয়ে বলেছে ভারতের সরকারের জন্যতো দালালি করেছি। যা করেছি তোমাদের জন্য করেছি। এখন দেশে জনতার যে রোল দেখছি বাংলাদেশে আমার নেত্রী হাসিনাতো আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। তাই তোমাদের সাহায্য চাই। আবার আরেক মন্ত্রী বলে তিনিতো আমাদের দলের কেউ নয়? তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানালো কে। যখন চোর ধরা পড়া তখন সবাই বলে চোর আমাদের কেউ নয়।
নোয়াখালী শহর বিএপির সভাপতি জাফর উল্যাহ রাসেলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আবু নাসেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. এবিএম জাকারিয়া, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমগীর আলো, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরণ, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ছাবের আহমেদ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আজগর দুখু, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো: নোমান প্রমুখ।
এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শ্লোগানে বিক্ষোভ সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এসময় দলীয় নেতাকমীরা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তত থাকার আহবান জানান। সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।