হাসপাতাল থেকে বাসায় বেগম খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২২ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তার গুলশানস্থ বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্যে বসুন্ধরাস্থ এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কয়েকটি টেস্ট শেষ করে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন রাত ৮টায়। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাসায় ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে চেকআপের জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। নিয়ম হচ্ছে এনজিও প্লাস্টি করার ৪/৬ সাপ্তাহের মধ্যে ইকো, ইসিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও এক্সট্রে টেস্ট করা হয়েছে। রক্তের আরো কিছু টেস্ট করা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে, আগামী পরশুর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেয়ে যাবো। এরপর মেডিকেল বোর্ড বসে রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে বিস্তারিত আপনাদের জানাতে পারব ইনশাল্লাহ। এ সময়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপি চেয়ারপারসেনের ব্যক্তিগত সরকারি আব্দুস সাত্তার, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুল মিরাজ,মিজানুর রহমান রাজ প্রমুখ।
সবশেষ গেল ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার হৃদপিন্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। ৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃতপিন্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।
২৭ এপ্রিল করোনার চিকিৎসার জন্য প্রথম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। একই বছরের ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেন। ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন এবং চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি। চলতি বছরের ১১ জুন সর্বশেষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৪ জুন বিকেল ৫টায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।