স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজশাহী মহানগরের র্যালি ও সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ১৯ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জাতীয়তাবাদী দল স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগরের আয়োজনে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ মহিলা কলেজ মোড় হতে নেতৃবৃন্দ র্যালি বের করেন। র্যালি নিয়ে তারা রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক ভূবনমোহন পার্কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের ডাকে সাড়া দিয়ে র্যালি ও সমাবেশে অংশ নেন।
র্যালি ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুলি হক ডিকেন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের বকুল ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যস সচিব রফিকুল ইসলাম রবি।
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডল, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্ত্তুজা ফামিনসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন বিএনপি শুরু করেছে। তারেক রহমান সে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। চলতি মাসের ২২ তারিখ হতে পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ হঠাও দেশ বাঁচাও স্লোগান শুরু হয়ে গেছে। আইন শৃংখলা বাহিনী এখন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের পাহারা না দিয়ে তাদের বল বানিয়ে ক্রিকেট খেলছে আর ছক্কা হাকাচ্ছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এখন মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করতে আর কোনো প্রকার অনুমতির প্রয়োজন নেই। কারণ এই দেশ কারো একার নয়। দেশের মানুষ এখন ভাল নাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, একদিকে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অন্যদিকে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আরো আগুনে ঘি ঢালার মত হয়ে গেছে। সেই আগুনে জনগণ পুড়ে মরলেও সরকারের কোন কোন মন্ত্রী, এমপিরা বলছেন দেশের মানুষ বেহেস্তে আছে। নির্লজ্জতার একটি সীমা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জনগণের চাপে এই সরকার এখন উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে উল্লেখ করে মিলন বলেন, এখন সময় এসেছে সাইক্লোন হয়ে এই সরকারকে ধাক্কা মেরে উড়িয়ে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যেমে নির্বাচন করে জাতীয় সরকার গঠন করে এই সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের বিচার করা। এই কাজ করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। তারেক রহমানের ঘোষনা অনুয়ায়ী কঠোর আন্দোলনের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।