দেশে সবকিছুর দাম বাড়ছে, আওয়ামী লীগের দাম কমছে : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ১৮ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সারা বিশ্ব জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, গুম, খুন, নারী ও শিশুসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সারা বিশ্ব জেগে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কিশোরগঞ্জে বন্যা পরবর্তী দুর্গত মানুষকে ফ্রি মেডিকেল সেবা এবং বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর। এ সময় ওয়ান ইলেভেনে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ইলিয়াস আলীকে গুম এবং বুদ্ধিজীবী ও লেখক ফরহাদ মাজাহারের অপহরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন গয়েশ্বর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে সব কিছু দাম বাড়ছে, আওয়ামী লীগের দাম কমছে। এখন তা শূণ্যের কোঠায়। যেখানে আওয়ামী লীগ থাকে সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। এই অবস্থায় আমাদের লড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই নয়। আমাদের লড়াই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। আমাদের লড়াই হচ্ছে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে উপর থেকে ফেলে দিয়ে তার কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্যাতনের চিত্র সাম্প্রতিক সময়ে নেত্র নিউজ আবিষ্কার করেছে। আমরা আগে শুনতাম বিভিন্ন জেলা, থানা ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের টর্চার সেল আছে। কিন্তু তারেক রহমানকে সরকার চালিত টর্চার সেলে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই সেল এখনও আছে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে শোনা যায়। আপনারা জানেন না সেখানে অনেক অজানা মানুষ এখনো আটক আছে। মাঝে মধ্যে এক-দুইজন ছাড়া পেলেও তারা কথা বলে না, চুপচাপ দেশ থেকে বেরিয়ে যায়।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সাবেক এমপি ও আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। তাকে কারা নিয়েছে এবং কোথায় নিয়েছে? আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। তারপরও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের পাশে ছিলাম ও আছি। করোনার সময় দেশের সর্বত্র আমরা ফ্রি মেডিকেল সেবা, ঔষধ, অক্সিজেন, দুস্থ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। বন্যার সময়ও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরাও যে ভালো আছি তা নয়। আমাদেরও কষ্ট করতে হয়। আমাদের প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।