জীবন দিয়ে হলেও দেশকে মুক্ত করবো : নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৩ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি। তাই জীবন দিয়ে হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করবো। যদি জীবন দিতে হয়, গুম হতে হয় তাও হবো। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যেখানে আইজিপিসহ ৭ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেখানে তাদের সরিয়ে না দিয়ে তাদের বেতন গ্রেড ও সুবিধা বাড়িয়েছে। প্রশাসনের নির্ভরতায় শেখ হাসিনা টিকে আছে। শেখ হাসিনা রাজনীতি ও প্রশাসনে এই দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশকে একটি মাফিয়া সাম্রাজ্যে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কোনো রাজনীতিবিদ টিকে থাকতে পারে না। আমরা রাস্তায় নেমেছি। তাই জীবন দিয়ে হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করবো। যদি জীবন দিতে হয়, গুম হতে হয় তাও হবো।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত নাটোরে কর্মী হত্যার প্রতিবাদে প্রতীকী লাশের মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেত্র নিউজে প্রকাশিত ‘আয়নাঘর’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা ভিন্ন মতের মানুষকে গুম করে আবু গরীব কারাগারের মতো করে বন্দি করে রেখেছে। এভাবে তারা আরেকটি কারাগার তৈরি করেছে। অথচ চাটুকারেরা চুপ করে আছে। টেলিভিশন ও মিডিয়ার কোথায়ও এ নিয়ে আলোচনা হয় না।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে ৬ শতাধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। এখনো ১ শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষের লাশ পাওয়া গেছে। এই প্রত্যেকটা গুম-খুন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারা করেছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য।
নুর বলেন, হত্যার প্রতিবাদের নিউজ সাংবাদিকরা করছে না। সেটি করা নাকি অফিস থেকে নিষিদ্ধ। মিডিয়া কি তাহলে পরীমনি আর ভংচং কভার করবে। তারা যা তৈরি করে দিবে সেটাই জনগণকে খাওয়াতে চাচ্ছে। যে কারণে আজ মিডিয়া শুধু বঙ্গবন্ধুর আলোচনা নিয়ে আছে। এটি ভালো। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা যে ৬ শতাধিক মানুষকে গুম করেছে সেটি নিয়ে আলোচনা নেই। আজকে শেখ হাসিনাকে খুশি রাখার জন্য সবাই চাটুকারিতায় ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন আজ মানুষ মারার উন্নয়ন। গতকাল ৫ জন গার্ডারের নিচে পড়ে মারা গিয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে মন্ত্রীরা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। এখানেই শেষ। এটি নিয়ে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। দেশে আইন প্রণেতারা আজ আইন মানে না। প্রতীকী লাশের মিছিলে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তারেক রহমান, মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান ও যুবঅধিকার পরিষদের নেতারা।