ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের স্ত্রীর ৪৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ১১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভোলায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের স্ত্রী ইফফাত জাহান বাদী হয়ে ৪৬ পুলিশ সদস্যের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামালের আদালতে সদর মডেল থানার এসআই আনিস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৪৬ পুলিশ সদস্যেকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাদী ইফফাত জাহান পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বাছেত বলেন, গত ৩১ জুলাই বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। ঢাকার গ্রীনরোড ধানমন্ডি কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন পর নুরে আলমের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে নুরে আলম মারা গেছে দাবি করে তার স্ত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
তিনি জানান, এ সময় এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যে তথ্য প্রমাণাদি আদালতে দাখিলের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য- গত ৩১ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ভোলা জেলা বিএনপি। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর রোডে যাওয়ার সময় পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী এবং পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। একই দিন আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম আহত হন। ঢাকার গ্রীনরোড ধানমন্ডি কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন পর নুরে আলমের মৃত্যু হয়
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নুরে আলম ও আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী ভোলা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে ভোলার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।