জ্বালানির দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ৬ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে সরকার। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জ¦ালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
সরকারের গণবিরোধী অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশ এখন দেওলিয়াত্বের পথে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের মিথ্যা ও কল্পকাহিনীর ফিরিস্তি শুনতে শুনতে মানুষ এখন ক্লান্ত ও বিরক্ত। এমনিতে দ্রব্যমূল্যের বেসামাল ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা, তার ওপর গত মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও হারাতে বসেছে। গতরাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। জ্বালানি তেল যথা কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের এই দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিদ্যুৎ, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। খাদ্য পণ্যসহ শাকসবজির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবহন এবং গণপরিবহনের ভাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। তাতে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সংকটের মধ্যে পড়বে। সরকারের নীতিই হচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে শোষণ করে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। অথচ স্বল্প আয়ের মানুষই জনগণের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
জনগণের প্রতি অনির্বাচিত ভোটারবিহীন সরকারের কোনো দায় থাকে না। আওয়ামী স্বৈরশাহী দেশ থেকে গণতন্ত্রশূন্য করেছে যাতে তাদেরকে কোনো জবাবদিহি করতে না হয়। বেপরোয়াভাবে নিজেদের লুটপাটের স্বার্থে জনগণের ওপর স্টীম রোলার চালাতে তারা দ্বিধা করছে না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এবং জনগণ এই জুলুমবাজ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলেই জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই সরকার একের পর এক জ্বালানি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিশ^বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। তাই অবিলম্বে রাজপথে নেমে এসে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র কর্তৃব্য। এই জালিম সরকারের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে এখনই মুক্ত করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সুতরাং স্বৈরাচারের পতন ছাড়া জনগণের কোনো নিস্তার নেই। জ্বালানি তেলের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানাচ্ছি।
আজ পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে সর্বক্ষেত্রে আরো ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও চাপ বাড়বে কয়েকগুণ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশ মহাসংকটে পড়বে। উন্নয়নের চাকা স্থবির হয়ে পড়বে।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়াও প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশেরও ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববাজারে যেদিন জ্বালানি তেলের দাম কমলো সেদিনই বাংলাদেশে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ল। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালেও বর্তমানে তেলের বাজার নিম্নমুখী। এ সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণ না করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। অনতিবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে আগের মূল্য বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ মূল্যবৃদ্ধির কারণে অসংখ্য শিল্প কারখান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে নতুন করে সংকট তৈরি হবে। শ্রমিক অসন্তোষ বাড়বে। তিনি বলেন, সারাদেশে লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন দুর্বষহ হয়ে উঠছে। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠবে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্ত সরকারকে বাতিল করতেই হবে। অন্যথায় সারাদেশে গণরোষ সৃষ্টি হয়ে গণআন্দোলনে রূপ নিতে বাধ্য। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
ইউট্যাব : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতি ও অপচয় রোধ না করেই আবারো ডিজেল, কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা পেট্রোল ৪৪ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা করা হয়েছে। এতো বেশি পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী। হয়তো সরকারের ফের কোনো দুরভিসন্ধি আছে। বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা তথা দেউলিয়াত্বের পথে যাচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই ভোজ্যতেল সয়াবিনসহ চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, টুথপেস্টসহ প্রায় সব পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। এখন মূল্যবৃদ্ধির যে ‘টর্নেডো’ চালিয়ে দেয়া হলো, তাতে জনগণ তথা ভোক্তার অধিকার তছনছ হয়ে গেছে। মানুষ আরো সঙ্কটে পড়বে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে অনির্বাচিত সরকার হুটহাট নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। এর পেছনে সরকারের লাগামহীন দুর্নীতিই দায়ী। তা না হলে সরকার মানুষের চরম দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতো। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষুব্ধ জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। তখন কিভাবে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিবে? অবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানান ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট এবং মহাসচিব।
এনপিপি : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, এই সরকার উন্নয়নের নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন তাদের দুর্নীতির দায় জনগণের ওপর চাপাতে জ¦ালানি তেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়বে প্রত্যেকটি খাতে। সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তারা ফসল উৎপাদন করতে হিমশিম খাবে। সব পণ্যের দাম হবে দ্বিগুণ। অথচ কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পেট্রোল ও অকটেন আমাদের কিনতে হয় না। তারপরও কেনো দাম বাড়লো? অবিলম্বে জ্বালানির দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানায় এনপিপি।
জাগপা : জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও মহাসচিব এসএম শাহাদাত এক বিবৃতিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণবিরোধী সরকার লুটপাটের মাধ্যমে আরাম আয়েশ করছে আর দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ। তাদের লাগামহীন দুর্নীতির ফল হচ্ছে- জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। তারা অবিলম্বে জ্বালানির মূল্য আগের অবস্থায় রাখার আহ্বান জানান।
বাসদ : জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি এবং ভোলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও দুইজনকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি আজ এক বিবৃতিতে বলেন, তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কৃষি, শিল্প, পরিবহনসহ সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়িয়ে দেবে আর সাধারণ নাগরিকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে। দুর্নীতি ও লুটপাটের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দুর্বৃত্ত তোষণের রাজনীতি চলছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, চোরাগোপ্তা কায়দায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। আইএমএফকে খুশি করতে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত চরম ভোগান্তিতে থাকা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। যা দেশবাসী মেনে নেবে না। এই সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের ওপর নতুন করে অকল্পনীয় গজব চাপিয়ে দেবে। যার অভিঘাত পড়বে প্রতিটি ঘরে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে। শিল্প, কৃষি পরিবহনসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। নতুন করে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে। সুতরাং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি এবং জনগণকে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
এলডিপির নিন্দা : আওয়ামী লীগ সরকারের এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিনাকারণে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। তারা অবিলম্বে সরকারকে এই জনবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত-এনপিপি : অন্ধকারে মানুষকে ঘুমিয়ে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারিতে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এনপিপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএফের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য বৃদ্ধি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য যখন কমেছে, তখন সমন্বয় করার ওজুুহাতে আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। দফায় দফায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়বে জনজীবনে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। গণ-পরিবহনসহ সকল পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। এতে এ খাতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো কষ্টদায়ক হয়ে পড়বে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাব। নিজস্ব সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাপেক্সকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ১০টি কোম্পানিকে সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারের ভিতরে ওতপেতে থাকা অসাধু ব্যক্তিদের দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে জনসাধারণ। এর দায়ভার সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। জনসাধারণের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানির মূল্য কমিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। আর তা না হলে দেশের অভ্যন্তরে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তার দায় জ্বালানি বিভাগকেই নিতে হবে।