মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান
ভোলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ৫ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৪ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গ্রেপ্তার এড়াতে শুক্রবার ভোলায় কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেনি বিএনপির অঙ্গসংগঠন। এর পরিবর্তে নিহত ছাত্রদল সভাপরি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করে দলটি।
গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিরত ছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। গত রোববার বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের অভিযোগ, পুলিশের দাখিল করা দুটি মামলায় কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এলাকায় ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশীর নামে বিএনপির লোকজনকে হয়রানি করছে। দলীয় কার্যালয় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তাই নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেননি। সামনের দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি কি কর্মসুচী গ্রহন করে সেই অপেক্ষায় আছি।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা ভোলা জেলার প্রতিটি মসজিদে মসজিদে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবকদল নেতা আবদুর রহিমের আত্মার মাগফেরাত ও ভোলা,বরিশাল ও ডাকায় চিকিৎসাধীন গুরতর আহত নেতা-কর্মীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মোনাজাতে করা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা স্ব স্ব এলাকা মসজিদে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের দাবি, মামলার আসামি বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে না। হত্যাকান্ডের ঘটনায় আবদুর রহিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ৩৬ নাম উল্ল্যেখ ও ২৫ জন অজ্ঞাত নাম দিয়ে চীপজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (৪ আগষ্ট) বৃস্পতিবার একটি হত্যা মামলার করা হয়েছে। নিহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি। পুলিশের করা মামলায় নুরে আলমের হত্যাকে অন্তর ভুক্ত করা হবে বলে ওসি এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রিয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম দুপুরে নিহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবকদলের নেতা আবকদুর রহিমের বাড়িতে যান। সেখানে তাদের পরিবারের খোজ খবর নেন এবং নিহতদের কবর জিয়ারত করেন। আবদুর রহিমের স্ত্রীর হাতে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন নাজিমউদ্দিন আলম।