ভোলায় হত্যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ৪ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪১ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ আব্দুর রহিম ও শহীদ নুরে আলমকে হত্যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। জনগণের দাবি আদায় সারাদেশে নজিরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানীর অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দু রহিম ও আইসিইউতে থাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমও একদিন পর নিহত হয়। এতে প্রমাণ হয় এই ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিরহ জনগণের উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। স্বৈরাচার সরকার সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিন শুনানি শেষে কোর্ট হিল চত্বরে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ জনদুর্ভোগের বিষয়ে ভোলায় একটা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের ওপর পুলিশ গুলি করে দুইজন নেতাকে হত্যা করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। এরসঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জনসাধারণকে এরকম হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।
উল্লেখ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধ কে কেন্দ্র করে পুলিশ ৪৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এবং আরো অজ্ঞাত ২৬ জনকে আসামি করে মোট ৭৫ জনের মামলা দায়ের করলে উচ্চ আদালত থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাসান বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, নাজিবুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, মোহাম্মদ শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, সদস্য আহমদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ, কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, নগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান সহ ২৩ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়। আজ জেলা ও দায়রা আদালতে মিস ৮৪৬,৮৪৭ ও ৮৪৮ নং মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল কিন্তু কিছু আসামি উপস্থিত না থাকাই সময় মঞ্জুর করে আগামী ০৪ /০৯ /২০২২ ইং তারিখে শুনানের দিন ধার্য রাখে।
উক্ত মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট মফিজুল ভুইয়া, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইফতিকার মহসিন, অ্যাডভোকেট কানিজ কাউসার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল আলম চৌধুরী মারুফ, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।