জেলা ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু : ভোলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ৩ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি... রাজেউন)।
আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর গ্রীন রোড কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তিনি মারা যান।
এদিকে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল সভাপতি নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান বলেন, ভোলা জেলা বিএনপির ডাকে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কালোব্যাজ ধারণ করবেন।
এদিকে, ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতির মৃত্যুর খবরে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের সদর রোড প্রদক্ষিণ করে কে-জাহান মার্কেটের সামনে দিয়ে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। গত রবিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হন। আজ বুধবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকার গ্রিনরোড কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা যান।
ছাত্রদল নেতা জানান, রবিবার (৩১ জুলাই) সংঘর্ষের পর প্রথমে নুরে আলমকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেরে-বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা নিউরো সায়ন্স হাসপাতালে পাঠান। রবিবার রাত ৯টার দিকে নিউরো সায়ন্স হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে ওই হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রিন রোড কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে দেখতে কমফোর্ট হাসপাতালে যান। উল্লেখ্য, রবিবার ভোলায় বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম নিহত হন।