খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ২ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বর্তমান সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, গুম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। তারা বিগত সময়ে বিএনপির ৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ধোঁকাবাজ, মামলাবাজ, অত্যাচারী সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের জনগণ। সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে শীঘ্রই হাসিনা সরকারকে হটাতে একদফার কর্মসুচি ঘোষণা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে খুনি হাসিনা সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা ঘরে ফিরবো। আব্দুর রহিম হত্যার শোককে শক্তিতে পরিনত করে হাসিনা হটাও আন্দোলন বেগবান করতে হবে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসুচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় খুলনা মহানগর ও জেলার বিএনপির উদ্যোগে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে খুনি আওয়ামী লীগ সরকার দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন। নির্বিচারে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাশের কাফেলায় আব্দুর রহিমের নাম যুক্ত হয়েছে। আব্দুর রহিম হত্যাকান্ডে মধ্যদিয়ে বর্তমান তাবেদার ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের মাঝে যে আগুন জ্বালিয়েছে সেই আগুনের লেলিহান শিখায় তাবেদার সরকার জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাবে তারা।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম দলীয় নেতাকর্মীদের গর্জে ওঠার আহবান জানিয়ে বলেন, সকলকে গর্জে উঠতে হবে, রাজপথ দখলে নিতে হবে। এই সরকার কে আর সময় দেয়া যাবে না। এখন একটাই দফা একটাই দাবি, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
প্রধান বক্তার সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনারা অনেকেই সরকার বিরোধী একদফার দাবি জানিয়েছেন। এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আপনারা রাজি আছেন? এ সময় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীরা হাত তুলে হ্যাঁ সূচক শব্দ উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আন্দোলনের মুখে পালানোর পথ পাবে না। নদী পথে পালাতে পারেব না। হ্যালিকপ্টারে পালানোর চেষ্টা করতে পারে। কারন বঙ্গভবনে নাকি হ্যালিপ্যাড আছে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাংলার জনগণ বর্তমান হাসিনা সরকারকে ক্ষমা করলেও করতে পারে। দেশটার মালিক পুলিশ কিংবা সরকার নয়। এই দেশের মালিক আব্দুর রহিমের মতো জনগণ। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। টাকার হিসাব চাইলে গুলি করে মানুষ মারবেন? আমরা পুলিশকে দোষারোপ করি গুলি করছে বলে। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কে? তাকে আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এসময় বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার নেতাকর্মী হাসিনা হটাও স্লোগান দিতে থাকে।
বক্তারা আরো বলেন, অচিরেই বাংলাদেশে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। সকল অনাচারের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে এবং আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে অবৈধ সরকারকে।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, স ম আ. রহমান, অ্যাড. কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, আশরাফুল আলম নান্নু, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, হাসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন মাস্টার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাসুদ খান বাদল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ, জি এম রফিক, মনিরুজ্জামান লেলিন, এবাদুল হক রুবায়েত, মনির হাসান টিটো, এস এম এনামুল হক, সামসুল বারী পান্না, ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আবু সাঈদ শেখ, ইশতিয়াক হোসেন ইসতি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, তাজিম বিশ্বাস, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন আনো, জাবির আলী, আশরাফী আফিফা চুমকি, কাওসারী জাহান মঞ্জু, কাজী আব্দল লতিফ, এইচ এম আসলাম, লিটন খান, মোস্তফা কামাল প্রমূখ। সমাবেশ স্থলে দুপুর থেকে বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে থাকে। বিকাল ৪টায় কেডি ঘোষ রোড কানায় কানায় পুর্ন হয়ে যায়।