ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ৩১ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সারাদেশে নজীরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানী খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজ দেশব্যাপী জেলায় জেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ভোলা জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ বেপরোয়া হামলা চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব প্রার্থ আব্দুর রহিম নিহত হয়। পুলিশের গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত হয়েছে-ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন (গুলিতে মাথা ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত), পূর্ব ইলিশ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক প্রার্থী আঃ রহমান, সদস্য সচিব প্রার্থী হারুন জমাদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ঈমন, নাঈম, কাশেম, সুমন, রায়হান, কাচিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস, পশ্চিম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাবিব, ইসমাইল, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইউছুফ, উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাকিব, যুগ্ম আহবায়ক প্রার্থী জসিম, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাকিব, রিয়াজ, রফিক মেস্তুবা সহ শতাধিক নেতাকর্মী। এদের মধ্যে ৪/৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া একই কর্মসূচি পালনকালে কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সোহানুর রহমান লিংকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এধরণের ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
আজ রবিবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, "আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এরা সবসময় দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনীতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাধিকার লঙ্ঘন। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে। দেশে এখন জবাবদিহিতাহীন নির্মম দু:শাসন বিরাজমান বলেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেপরোয়া বিস্তারলাভ ঘটেছে। দেশে ন্যায় বিচার মহাশুণ্যে বিলীন হয়ে গেছে। বিচারহীনতার কারণেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়বাড়ন্ত। এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া দুরে থাকুক বরং ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে জনগণের ওপর রক্তাক্ত আগ্রাসনের পূণরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।
আজ বিএনপি'র কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভোলা, ঝালকাঠি ও কুষ্টিয়ায় পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা এবং গুলি চালিয়ে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা ও শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা সরকারের সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনারই প্ররিণতি। সরকারের অপকর্মের বোঝা এতই ভারী হয়ে গেছে যে, তারা মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসকেই এখন আদর্শিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু কোন নীলনকশাই সফল হবে না। বরং এসমস্ত রক্তাক্ত পথ অবলম্বন করে আওয়ামী সরকার জনগণের মন থেকে চিরতরে মুছে যাচ্ছে। আওয়ামী সরকারের পতন খুবই সন্নিকটে।"
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে পুলিশের গুলিতে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী সহ আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।