সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভাংচুরে আওয়ামী লীগ জড়িত : ডাঃ ইরান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ৩১ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকার অবৈধ ক্ষমতা রক্ষায় সংখ্যালঘুদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান রহমান ইরান বলেছেন, সরকার দেশে পরিকল্পিত ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। নড়াইল, নাসিরনগর, রামু ও গাইবান্ধার সাওতাল পল্লীর নৃসংস হামলার ঘটনায় প্রতক্ষ্য ভাবে আওয়ামী লীগ ও এজেন্সী জড়িত। ভারত-সহ বিদেশী শক্তির আনুকল্য পেতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করছে। তাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, প্রতিমার-মন্দির ভাংচুর করে হিন্দু-মুসলমাদের মধ্যে সংঘাত সংর্ঘষ সৃষ্টির পায়তারাকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে কাউকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান আমরা ভাই ভাই। জনগনের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার বিভক্তি বিভাজন ও হানাহানির অপরাজনীতিকে উসকে দিচ্ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন, জমিজমা দখল সহ ৯৫ভাগ ঘটনার সাথে সরাসরি স্থানীয় আওয়ামী লীগ জড়িত। ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে ডাঃ জাফরুল্লাহ ও নিতাই রায় বলেছেন, নড়াইলে ৭০ ভাগ হিন্দু অধ্যুসিত এলাকায় নৌকা মার্কার প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় বিজয়ী বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের মধ্যেকার অন্তদ্বন্দের জেরধরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা দক্ষিন আয়োজিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর-মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মহানগর দক্ষিনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম বাবু রামকৃষ্ণ সাহা, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের বাবু রাম সাহা সুমন, গণঅধিকার পরিষদের সাদ্দাম হোসেন, দেশ বাচাঁও আন্দোলনের রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম লীগের মাহবুবুর রহমান, তাতীদলের ড. মনিরুজ্জামান মনির, জাস্টিস পার্টির আবুল কাসেম, ইসলামী ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক, মুসলিম সমাজের মাসুদ হোসেন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবির, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ আলম, যুবমিশন সদস্য সচিব সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, অর্থসম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।