চারগুণ মূল্যবৃদ্ধির পরও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা : ড. মঈন খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ৩০ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ৫০ বছর আগে দেশ স্বাধীন হয়েছিল দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে। তা হলো গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্ত গণতন্ত্র আজ কোথায়? কেন মানুষ ভোট দিতে পারেনা? কেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই?বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানে বিশ্বাসী। বিরোধী দলের দায়িত্ব সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আর সরকারের দায়িত্ব জবাব দেয়া। আওয়ামী লীগ বলে- বিদ্যুৎ দিয়ে নাকি দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ হাজার মেঘাওয়াট। আর তারা না কি ২৫ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তাই যদি সত্যি হয় তাহলে তো দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকার কথা নয়। এখন কেন লোডশেডিং করতে হয়? ক্যাপাসেটি চার্জের নামে সরকার এক লক্ষ হাজার কোটি খরচ করেছে সরকার। এই টাকা কোথায় গেল। যারা দেশের টাকা পাচার করেছে তাদের জবাবদিহি হতে হবে।
আজ শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে নজিরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানী খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩.৪০ পয়সা ইউনিটে বিদ্যুৎ দিয়েছিল। আর আজ ৩.৪০ পয়সার বিদ্যুৎ আজ ১২ টাকা ৪০ পয়সা। তার পরও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা। চার গুন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পরেও কেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, কেন লোডশেডিং হয়? এর মুলে হচ্ছে দুর্নীতি। পাকিস্থানে ২২ টি পরিবার দেশের সম্পদ লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল আর আমদের দেশে সরকারেরর মদদপুষ্ট ২২০ পরিবার লুটপাট করেছে। তার বিচার একদিন হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, সরকার পরিকল্পিত ভাবে দেশে সংকট সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে ৩২ টিলিয়ন থেকে ৪২ টিলিয়ন গ্যাস আছে। সরকার ইচ্ছে করে গ্যাস তুলছেনা। করন গ্যাস আমদানী করে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করতে চায়। বিদ্যুতের ক্যাপাসেটির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাই এদেরকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্টার বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বাংলদেশের পরিস্থিতি আজ খুবই ভয়াবহ। দেশে ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দেশে আজ গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ এখন আর যায় বা, মাঝে মাঝে আসে। আওয়ামীলীগ লুটপাট করে দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এই লুটেরা সরকারের লুটপাটের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে আওয়ামীলীগকে বিতাড়িত করার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বনা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সিসিক কাউন্সিল রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।