ফ্যাসিস্ট ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবেনা : বকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ২৯ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, বর্তমান নিশিরাতের ফ্যাসিস্ট ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবেনা। নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের যে কোন অপচেষ্টা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবে বিএনপি। সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হোক বা স্থানীয় সরকারের।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ খুলনা সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটকে সরকারি অনুদান নির্ভর ও উচ্চাভিলাসী অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং থেকে কেসিসির বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
নগরীর রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, নিন্ম এলাকায় জলাবদ্ধতা ও জনদূর্ভোগের বিবরণ তুলে ধরে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন,ব্যর্থ, অযোগ্য ও বিনা ভোটের মেয়র ৮৬১ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট ঘোষণা করে মূলত জনগণের সাথে তামাশা করেছেন। তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটে মাত্র ১৯২ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ। বাকি সম্পূর্ণ টাকা সরকারি অনুদান নির্ভর। যার অর্থ, কোন কারণে সরকার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে কেসিসির এই বাজেট অকার্যকর। তা কেবল ঘোষণাই থাকবে। উন্নয়নের কোন কাজে আসবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম মনা আরও বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবর রহমান সরোয়ার, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল।
সমাবেশের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর, মহারাজ চত্বর ও কেডি ষোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপি নেতা মনা অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপি তার প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চায়। কিন্ত ইতিপূর্বে খুলনার পুলিশ প্রশাসন বিনাউস্কানিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশী হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন বিএনপি নেতা বাবুল কাজী। মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তার অপর চোখটিও ঝুঁকির মুখে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশ ও শাসক দলীয় ক্যাডারদের যৌথ হামলার শিকার হতে হয়েছে বিএনপিকে। বিএনপির সমাবেশ পন্ড, মঞ্চ, দলীয় কার্যালয় ও চেয়ার ভাংচুর, গুলি-টিয়ারসেল নিক্ষেপ, ৪২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩০ জুলাই মহানগর ও ৩১ জুলাই জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে খুলনায়। সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতিবাদে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতারা বলেন, নিশিরাতের ফ্যাসিস্ট ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবেনা। নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের যে কোন অপচেষ্টা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবে বিএনপি। সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হোক বা স্থানীয় সরকারের।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ রকিবুল ইসলাম বকুল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, এস এ রহমান বাবুল, আব্দুর রবিক মল্লিক, মোস্তফা উল বারী লাভলু, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, মনিরুল হক বাবুল, তৈয়েবুর রহমান, আবুল কালাম জিয়া, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, মহানগর ও জেলা বিএনপির সদস্যবৃন্দ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।