সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ২২ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখছি দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে, আমরা দেখছি যে বিদ্যুতের কি অবস্থা, আমরা দেখছি যে, স্বাস্থ্য বিভাগ কিভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে, আমরা দেখছি যে, শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়েছে, ব্যাংকিং সিস্টেম ধ্বংস হয়ে পড়েছে।” ‘‘এই যে সামগ্রিক একটা ধ্বংসের দিকে যাত্রা, এই যে সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া, এই যে সামগ্রিকভাবে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাগুলো ধ্বংস করে দেয়া- এই বিষয়গুলো কিন্তু আজকে জনগণের সামনে প্রশ্ন হিসেবে এসে দেখা দিয়েছে। আজকে আমাদের সকলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শুধু রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় বা রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা ব্যক্তি হিসেবে নয় সকল শ্রেণির সকল মানুষ এই প্রশ্নের তারা সম্মুখীন হয়েছেন, আজকে তাদেরকে এই জবাবটা চাইতে হবে।”
আজ শুক্রবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘‘এখন যে সরকার আছে তার জবাবদিহিতার কোনো জায়গা নেই। কারণ তারা নির্বাচিত নয়। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ফলে এরা এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যে, তারা তাদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার জন্যে এবং তাদের যে লক্ষ্য একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পোক্ত করার জন্যে আবারো আরেকটা নির্বাচন তারা একই কায়দায় একইভাবে সংঘটিত করতে চায়।”
‘‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, বারবার বলেছি যে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। এটা আমাদের পরিষ্কার কথা এবং আমাদের অন্যান্য বিরোধী দলের একই কথা। আবারো আজকে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই, এই সরকারকে তাদের ব্যর্থতার জন্যে, এই সরকারকে জনগণের ওপরে সমস্ত দুঃশাসন চাপিয়ে দেয়ার অপরাধে এবং বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ধ্বংস করে দেয়ার কারণে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে তাদেরকে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একই সঙ্গে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটা সংসদ ও সরকার গঠন করতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব পরিষ্কার বলেছেন, সেই নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হয়ে আসতে পারি তাহলে আন্দোলনে-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব।”
‘‘সেই জাতীয় সরকার জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করার জন্যে সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা সেই পথে এগিয়ে যাবো যেই পথে জনগণের মুক্তি আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
গত ২১ জুন বিএনপি ১১ সদস্যের মিডিয়া সেল গঠন করে। এই মিডিয়া সেলের আয়োজনে গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির বিট সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান এবং পরে সাংবাদিকদের সম্মানে নৈশভোজ হয়। মতবিনিময় সভার শুরুতে মিডিয়া সেলের প্রধান ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
নবগঠিত মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, আতিকুর রহমান রুমন, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।