‘বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২১ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না, অতীতেও থাকেনি, আগামীতেও থাকবে না। গণতন্ত্রের ট্রেন কারোর জন্য অপেক্ষা করবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনো কিছুর প্রতি তাদের কোনো প্রকার আস্থা নেই। বরবারই তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথ বেছে নেয়। তারা সবসময় নির্বাচন ছাড়া হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে কোনো প্রকার নির্বাচন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সবসময় অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগতভাবে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং বারবার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের সম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের দায়ও বিএনপির, তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়স সীমা বৃদ্ধি করেছিল। দলীয় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদটি পর্যন্ত হাইজ্যাক করেছিল বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক বলে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি নামক দলটি কখনই গণতন্ত্র চর্চা করে না এবং দল পরিচালনায়ও তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না। এমনকি দুর্নীতিবাজ নেতাদের রাজনৈতিক বৈধতা দিতে গঠনতন্ত্র পর্যন্ত সংশোধন করেছে বিএনপি। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়, কেবল তারাই বলতে পারেন ‘নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং আওয়ামী লীগ সবসময় সংবিধান, আইন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে রাজনীতি করে আসছে। সংবিধান অনুসারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’