বিএনপির রঙিন খোয়াব শিগগিরই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ১৯ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
লোডশেডিংয়ের কারণে সরকারের পতন হবে বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব শিগগিরই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে।
আজ মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ের সময় বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই?
তিনি বলেন, যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলত, শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা গতকাল বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে। বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথা। বিএনপির আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার কারণে পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়েছে, বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না, একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। তাই সবাইকে এই সংকটকালীন সময়ে রেশনিং করতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩০০-১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন, সেখানে শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত সংকটময় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সরকার ও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে এবং রেশনিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকারের নেয়া এবং নিতে যাওয়া ব্যবস্থার সঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। সাময়িক এ অসুবিধায় ধৈর্য ধরার এবং সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন তার ওপর আগে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনও রাখুন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে। এ সময় জনগণকে কারো কথায় কান না দেয়ার আহ্বান জানান সরকারের এই মন্ত্রী।