জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন অতি সন্নিকটে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৫ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৫ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরকারের পতন এখন অতি সন্নিকটে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিএনপি’র উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রচণ্ডবেগে গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে এই সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন এখন অতি সন্নিকটে।
আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী জেলাধীন বাগমারা উপজেলায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব এ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার আয়োজন করেছিল। সেখানে পুলিশ যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায় তা নজিরবিহীন। পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিএনপি’র উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্র রূপ প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ জেলাধীন পাগলা উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ৪০টি মোটরসাইকেল ভস্মীভূত করা এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, তার বৃদ্ধা মা-সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর যে পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে তা বর্তমান অবৈধ সরকারের সন্ত্রাসনির্ভর অপ-রাজনীতির আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বর্তমানে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থপাচার আর মহা দুর্নীতিতে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে যে, সেটিকে আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, বিএনপি’র কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি।
এ সময় তিনি রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জে পুলিশী হামলা ও ময়মনসিংহের পাগলা থানায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের ঘটনায় তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানান। এসব ঘটনায় জড়িত আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল।