সঙ্কট ও দুর্ভোগে নিমজ্জিত জনগণের কাছে এবারের ঈদ নিরানন্দ ও কষ্টকর ছিল : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১২ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ৯ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সরকারের দুঃশাসন ও ব্যার্থতায় জনগণের মনে স্বস্তি, শান্তি, আনন্দ নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুর্ণীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারকারীদের কাছে ঈদ আনন্দ মুখর হতে পারে, নিত্য পণ্যের আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধি, বন্যা, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও দুর্ভোগে নিমজ্জিত জনগণের কাছে এবারের ঈদ নিরানন্দ ও কষ্টকর ছিল। জনগণের করে বলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মনেও আনন্দ, স্বস্তি নেই।
আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) এমরান সালেহ্ প্রিন্স ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
হালুয়াঘাটের ধারা গ্রামে নিজ বাড়ীতে এবং বিকেলে ধোবাউড়া বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ে তিনি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ব্যাবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ সহ দেড় সহস্রাধিক মানুষের সাথে ঈদের শুভেচছা বিনিময় করেন।
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সুখ-দুঃখে জনগণের পাশে থাকে বলেই ঈদের দিনেও বিএনপি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিল, কোরবানীর গোশত, চাল, ডাল, তেল, ঈদের নতুন পোশাকসহ নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে, আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায় নাই। তারা 'লিপ সার্ভিসে' ব্যাস্ত। কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই এর মত সরকারের ত্রাণ সহযোগিতা খাতায় আছে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতি নিয়ত মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র বিধ্বংশী দল নয়,বরং বিএনপি গণতন্ত্র হরণকারী আওয়ামী লীগের বাকশালী কফিন থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে বাকশালে বিলীন আওয়ামী লীগ নতুন করে রাজনীতি শুরু করেছিল, স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরৎ আসার সুযোগ দিয়েছিল।
তিনি আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ বার বার গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল, এক নায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে চরম দুঃশাসন কায়েম করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দেশের মালিকানা ডাকাতি করেছে। আগামী নির্বাচনেও নতুন কূটকৌশলে ভোটাধিকার হরণ করে আবারও ক্ষমতা জবর দখল করতে চায় তারা।
প্রিন্স বলেন, নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রপতির হাতে কিছু ক্ষমতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন করানোর আওয়ামী অভিলাষ সফল হবে না। তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মূলা দেখিয়ে লাভ নাই। ২০১৮ তে চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে,আর নয়। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির চূড়ান্ত আন্দোলনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া মাত্রই সকলকে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হতে হবে।
হালুয়াঘাটের অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জেলা বিএনপির সদস্য ও হালুয়াঘাট ঊপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, আবদুল হাই, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আরফান আলী, আবদুল হামিদ, আলী আশরাফ, আমিনুল হক, সিদ্দিকুর রহমান, পরান আলী কাঞ্চু, চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, মিজানুর রহমান, শহীদুল হক খান সুজন, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মফিজ উদ্দিন, সাইয়েদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সুলতান মহিউদ্দিন, ক্বারী আবুল কাশেম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা, সহ সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন খান, জেলা জাসাস সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি গোলাম রাব্বি কায়সার, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আকবর আলী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক মঈনুদ্দিন বাবুল, শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গণি, সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সুজন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন পাপন, পৌর সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, জাসাস সহ সভাপতি রাশেদ আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মুন্না, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ধোবাউড়া উপজেলার অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, উপজেলা বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান, আজহারুল হক, আবুল হাশেম, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার আবদুল কুদ্দুছ,গাজীউর রহমান, মোঃ শাহজাহান, জুয়েল খান, আবদুস শহিদ, আবু তাহের, সিদ্দিক হোসেন, শাহাবুদ্দিন মেম্বার, আবদুল মতিন, ময়মনসিংহ উত্তর যুবদলের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, আবদুল আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উত্তর জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইমরান হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, সদস্য সচিব কাছুম উদ্দিন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন, সদস্য সচিব আমিনুল হক পলাশ, ওলামা দলের মওলানা হাবিবুর রহমান, আবদুস সাত্তার, মওলানা ওবায়দুল্লাহ, তাঁতীদলের সদস্য সচিব হাসান শাহ্ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।