ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না : নোমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ৫ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, যে নির্বাচনে আগের রাতেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। কাউকে অংশ নিতে দেয়া হবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করতে দেয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে দেশে যে সংকট তা নিরসন করতে হলে চলমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই সরকার পতনের আন্দোলন করতে হবে। জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে আমরা শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবো না। সেই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। আমাদেরকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আরও এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য।
নোমান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন মানে জনগণের নির্বাচন। জনগণ নিজেরাই এখন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ। তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে সরকার পতন আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলন আরও বেশি ত্বরান্বিত করবো। কেননা আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে মানুষ ঠিকমতো খেয়ে পরে বাঁচতে পারে না। দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে আর সরকার পদ্মাসেতু নিয়ে আনন্দ করছে। কারণ আওয়ামী লীগ চোরের দল। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই দেশের চলমান সঙ্কটের সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় জনগণ নিজেরাই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করবে। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম (ভিপি মাসুম), সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাঈল তালুকদার খোকন, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আমির হোসেন বাদশা, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।