মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ৩ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।
গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল। অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে। বিএনপি এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকর্তা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের বেনিফিশিয়ারি (লাভবান) বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদত ও পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল। এদেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংস্কৃতিও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন দল উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড তাদেরই রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণআকাক্সক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত। শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালতও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাসনির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিবিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপি। তাদের বোঝা উচিত কথামালার বৃষ্টিতে এদেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও জানে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু, তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোকদেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সঙ্গে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোকদেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে। অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য, তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।
তিনি আরও বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ত্রাণ বিতরণের নামে নাটক করেছে। তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করত। বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণবিলাস। তারা সাহায্য দেয়ার চেয়ে প্রেস-ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যতদিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সব অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।