পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে জনগণ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে : নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ৩০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনগণ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গত ২ মাস ধরে টাকা-পয়সা খরচ করে প্রস্তুতি নিয়ে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিসকে নির্দেশনা দিয়ে তারা ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়ে একটা মহোৎসব করতে চেয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেখানে ১ লক্ষ লোকও হয় নাই। এই সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের উপস্থিতি এই জানান দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বন্যা, খরা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, মানুষের ত্রাণের জন্য হাহাকার, খাবারের জন্য হাহাকার। সেদিকে সরকার কর্ণপাত না করে গণমাধ্যমসহ সমস্ত কিছুকে ব্যস্ত রেখেছে পদ্মা সেতুকে নিয়ে। আমরা বারবার বলেছি, অবশ্যই পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের প্রতীক। আমরা অবশ্যই পদ্মা সেতুর পক্ষে। কিন্তু এটা নিয়ে সরকার এতো অতিকথন করেছে যা নিয়ে দেশের মানুষ বিরক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সমাজে মারাত্মক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। কি দুর্ভাগ্য আমাদের, জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদেরকে জুতার মালা পরানো হচ্ছে। শিক্ষকদেরকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। এই হচ্ছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
তিনি আরো বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা ভোট দিতে পারছে না। দেশে গণতন্ত্র নাই। আইনের শাসন নাই। মানুষ যখন নির্বাচনের জন্য সংগঠিত হচ্ছে তখন তারা ইভিএমের নামে ভেলকিবাজি শুরু করেছে। আগামী নির্বাচন নাকি ইভিএমে হবে। যে দেশের মানুষ এখনো দলিল লেখে টিপ সই দিয়ে, সেই দেশে ইভিএম নির্বাচন কতোটুকু বাস্তবসম্মত তা আপনারা বিবেচনা করে দেখেন। যেসব রাজনৈতিক দল ইসির সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ৪টা দল ব্যতীত সবাই বলেছে, ইভিএমে ভোট সম্ভব না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো মেরুদন্ডওয়ালা রাজনৈতিক দল অংশ নেবে না। তাই আমরা সরকারকে বলবো আপনারা সময় থাকতে লাইনে আসেন। গায়ের জোরে নির্বাচন করার দুঃস্বপ্ন আর দেখাবেন না। এখনো সময় আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য ঐকমত্যে পৌঁছান।
নুর বলেন, আপনারা মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ- আমাদের সামনে নজির রয়েছে। যখন বন্যার্ত মানুষের খাদ্য প্রয়োজন তখন ওই এলাকায় কেউ যায় না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সিলেটের কয়জন মন্ত্রী বন্যার্ত এলাকায় গিয়েছেন? বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ত্রাণ ওই এলাকায় দেয়া হয়েছে। সরকারের বরাদ্দ কতো আপনারা সবাই ভালো জানেন।