নড়াইলে শিক্ষক হত্যা সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিফলন : গণসংহতি আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সাভারে শিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে নির্যাতনের ঘটনা সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিফলন মন্তব্য করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
আজ বুধবার বিকালে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, নড়াইলে শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর সময় স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারণে স্বার্থ হাসিল করতে না পারা স্থানীয় সরকারদলীয় ব্যক্তিরাই এই পুরো ঘটনার সুযোগ নিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। অন্যদিকে প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনার সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই ব্যর্থতার কারণ, স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্ক না থাকা। এটা পরিষ্কারভাবেই বলা যায়, এই ঘটনার উস্কানি যেসব স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দিয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তার বাস্তবায়ন হয়েছে, তারা সকলেই এই ঘটনার জন্য দায়ী।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, একচ্ছত্র, প্রশ্নহীন ক্ষমতার চর্চা যখন দেশের সকল স্তরে দেখা যায় তা সমাজের ভেতরও উগ্রতার বিকাশ ঘটায় এবং আইন ও বিচার নিজের হাতে তুলে নেয়ার লক্ষণ দেখা যায়। নড়াইলে শিক্ষকের সঙ্গেও এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে পুলিশ নীরব থেকে বরং অপরাধ সংগঠিত হতে দিয়েছে এবং অপরাধীদের সহায়ক হতে দেখা গিয়েছে।
সাভারে শিক্ষকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাভারে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় এখনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে দেখা যায়নি। সংবাদপত্র মারফত জানা যায়, হামলাকারী প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান, স্কুল কমিটির সভাপতির নাতি এবং স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। দুইদিন পার হয়ে গেলেও যে স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষককে প্রহার করা হয়েছে তা আলামত হিসেবে পুলিশ সংগ্রহ করেনি। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে যেকোন অপরাধ করেও বিচারের সম্মুখীন হতে হয় না এ ধারণা যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন যারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করেন তখন তারা যা খুশি তাই করতে থাকেন। এই প্রতিটি ঘটনায় যারা জড়িত ও দোষী, তাদের গ্রেফতার, আইনের আওতায় আনা এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে প্রশাসন ও দলীয় ব্যক্তিদের একচ্ছত্র বেআইনি শাসন চলছে, তার পরিণাম অচিরেই দেশকে খারাপ থেকে খারাপতর দিকে নিয়ে যাবে।